ASANSOL

এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি গ্রেফতার এক ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীকে

তোলা হলো আসানসোল আদালতে, ধৃতর সংখ্যা বেড়ে ৭

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ কয়লা পাচার মামলা এবার সঞ্জয় মালিক নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলো রাজ্য পুলিশের সিআইডি। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে দিন কয়েক আগেই কলকাতা থেকে আবদুল বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিলো সিআইডি গোয়েন্দারা। সেই বারিক বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয় বলেই সূত্রের খবর । জানা গেছে, রবিবার হরিয়ানার একটি ফার্ম হাউসে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী সঞ্জয় মালিককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি অফিসাররা।
সূত্রের খবর, বারিক বিশ্বাস গ্রেফতার হওয়ার পরই দিল্লির বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জয় মালিক গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে।
গ্রেফতারের পর দুদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে সঞ্জয় মালিককে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। সিআইডি সঞ্জয়কে ১২ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন করেছে।


সিআইডি সূত্রে খবর, আসানসোলে বিভিন্ন খনি থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচারের সঙ্গে যোগ আছে ধৃত ব্যবসায়ীর।
এদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার সিআইডি বারাবনির একটি কয়লা চুরির মামলায় পাঁচজনকে হেফাজতে নিল। এই পাঁচজন হল যুধিষ্ঠির ঘোষ, ওম প্রকাশ আগরওয়াল ,অভিষেক সিনহা, বিজয় সিং ও মীর দিলওয়ার। এরা জামুরিয়ার একটি কয়লা চুরি ও পাচার কাণ্ডে সিআইডির হেফাজতে ছিল। জামুরিয়ার একটি কয়লা পাচার মামলায় এই পাঁচজনকে আগেই সিআইডি ধরেছে। তারপর সোনা ও গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বারিক বিশ্বাসকেও তখন গ্রেপ্তার করা হয়।


সোমবার পাঁচজনকে আসানসোলের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়েছিলো। সিআইডির সন্দেহ, বারাবনি থানায় ২০১৯ সালের কয়লা চুরির একটি মামলায় সঙ্গে এরা যুক্ত রয়েছে। তাই তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে।
সিআইডি তরফে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বারাবনির চরণপুর এলাকা থেকে ১৮৭০ মেট্রিক টন চোরাই কয়লা ইসিএলের অভিযোগের ভিত্তিতে বারাবনি পুলিশ আটক করেছিল। এই কয়লা তখন রেলের মাধ্যমে অবৈধভাবে পাচারের চেষ্টাও হয়েছিল। সেই খবর পেয়ে ইসিএল আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছান। কোন কাগজপত্র না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সেই কয়লা গুলি তারা উদ্ধারের জন্য বারাবনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইসিএলের অভিযোগের ভিত্তিতে বারাবনি থানার পুলিশ একটি মামলা ( নং ১২৭) করে।


সিআইডির পাঁচজনকে সেই মামলায় তদন্তের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদনের ভিত্তিতে আসানসোলের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক তরুণ মন্ডল তাদের জামিন ৭ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদেরকে আসানসোল থেকে সিআইডি কলকাতায় নিয়ে চলে গেছে।
প্রসঙ্গতঃ কয়লা পাচার ও চুরির মামলায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত করতে নেমেছে। তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সঙ্গে গোটা রাজ্যে আলোড়ন পড়েছে।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *