BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

কল্যানগ্রাম এর চা ব্যবসায়ীর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ

কাজল মিত্র :-সালানপুর থানার কল্যানগ্রাম এর বাসিন্দা চিত্ত সাহা যার গলা কাটা মৃত দেহ উদ্ধার হয় হিন্দুস্তান কেবলস লোয়ার কেশিয়ার এক জঙ্গল থেকে । তবে পুলিশের অনুমান ছিল কেও বা কারা ওই ব্যক্তিকে খুন করে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল আর সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে ।জানা গিয়েছিল যে ওই ব্যাক্তি চিত্তরঞ্জন আমলাদহি বাজারের চা বিক্রি করত পরিবারে তার স্ত্রী ও পুত্র নিয়ে কল্যাণগ্রাম ৫ নম্বর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত চিত্ত সাহা।তার তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ।


পরিবারের তরফে নিখোঁজ অভিযোগ করা হলেও তারই পরের দিন ওই ব্যক্তির মৃতদেহ আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ অনুমান করে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ।এবং তদন্তে নেমেই পুলিশ বুঝতে পারে চিত্তবাবুকে খুন করা হয়েছে।ঘটনার তদন্ত সালানপুর থানা শুরু করে এর পরেই নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে এবং উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় ৮ দিনের মাথায় এই খুনে জড়িত প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ ।অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আদিত্য চার বয়স ৫১ যাকে পুলিশ পুরুলিয়া জেলার সাঁতুড়ি থানা এলাকার লেদিয়াম গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে সালানপুর থানা এনে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত ব্যাক্তি পুলিশী জেরায় এই খুনের ঘটনা স্বীকার করে ।


তাছড়া ওই অভিযুক্ত ব্যাক্তির কাছে থেকে জানাজায় যে তার সাথে মৃত চিত্ত সাহার স্ত্রী চন্দনা সাহার বিয়ের আগে থেকেই ভালবাসা ছিল।কিন্তু চন্দনার বিয়ে হয়েযায় এবং চন্দনা সাহার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তারপরেও আদিত্য চার এর আসা যাওয়া লেগে থাকত কল্যানগ্রাম বের বাসিন্দা চিত্ত সাহার বাড়ি ।চিত্ত সাহা এসব সহ্য করতে নাপেরে মদখেতে শুরু করে এবং তার স্ত্রীর সাথে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয় ।যারজন্যেই আদিত্য এসব দেখে শুনে চিত্ত সাহাকে মারবার প্লান করে ।তবে জানা যায় এর আগেও দুইবার বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল তবে বিফলে যায় ।কিন্তু এবার আদিত্য প্লান করে
তাকে মেরে ফেলে।সে জানায় যে প্রতিদিন দোকান বন্ধ করার পর নামকেশিয়া মদ খেতে যেত এবং হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরতে ঠিক তখন নামকেশিয়া রাস্তায় আদিত্য চার চিত্ত সাহা কে ওই পথে তার বাইকে চাপায় তারপর তাকে নামকেশিয়া ছাতিম বাগনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মুখে ঘুষি মারে তারপর পরে গেলে তখন একটি গামছা দিয়ে গলায় চেপে ধরে ও গলাতে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে জঙ্গলে ফেলে দেয় । সালানপুর পুলিশ ১ আগস্ট আদিত্যকে আসানসোল আদালতে তুলে দশদিনের জন্যে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *