ASANSOL

Meenakshi Mukherjee : চোর, দুষ্কৃতি, লুটেরা ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের হয়েই অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন” অনুব্রত মন্ডলের পাশে মুখ্যমন্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজই করছেন। সেটা লালবাজার লকআপ হোক বা ফিরহাদ, অভিষেক, রাজীব কুমার। এখন অনুব্রত মন্ডল। তিনি বরাবর চোর, লুটেরা ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তাদের হয়ে মিটিং মিছিল করেছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির দিন এমন ভাবেই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমন করলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তোপ দেগে তিনি আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থানে বসেছেন। ১৪৪ ধারা মানেননি। গোটা রাজ্যটা দুষ্কৃতিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। সুচপুর বা বগুটুই কান্ডে জড়িত বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে ওখানকার মানুষেরা চেনেন। জানেন তিনি কতটা তাণ্ডব চালিয়েছেন। সুতরাং সেই নেতাকে বাঁচানোর কাজ এখন শুরু হয়েছে। অনুব্রতর পাশে থেকে তিনি সমস্ত চোরদের বার্তা দিলেন পাশে থাকার। ঠিক যেভাবে নারদা কাণ্ডের পর মদন মিত্র, শোভন, সৌগত রায় দের টিকিট দিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি পাশে আছেন। এবারও সেই একই বার্তাই দিলেন চোরেদের পাশে থাকার।


প্রসঙ্গতঃ, ১৪ আগষ্ট কলকাতায় স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতকে সিবিআইয়ের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা জানিয়েছেন, দিদি পাশে আছেন, তাতে মনোবল বেড়েছে অনুব্রতর ।
আসানসোলের কুলটির মিঠানি গ্রামে ডিওয়াইএফআই আয়োজিত একদিনের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে মীনাক্ষী এসেছিলেন।কচিকাঁচাদের উৎসাহ দিতে এদিন তাকে ফুটবলে পা লাগাতেও দেখা যায়।


উল্লেখ্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় যখন রাজ্য সভানেত্রী ছিলেন না, কুলটি এলাকার দলের কর্মী বা নেত্রী ছিলেন। তখন থেকেই এই ফুটবল প্রতিযোগিতা তাকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যেত। তিনি গত ১৩/১৪ বছর ধরে নিজে দায়িত্ব নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টটি করান। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট এই অনুষ্ঠানটি হয়। করোনার জন্য গত দু’বছর এই ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *