ইসিএলের ইটাপাড়া কোলিয়ারির ঘটনা, কয়লা চুরির বিরুদ্ধে অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, ইঁট ছোঁড়ার পাল্টা লাঠিচার্জ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি থানার ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার ইটাপাড়া কয়লাখনি শনিবার সকাল থেকে এলাকার গ্রামবাসীরা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ । এর ফলে দিনভর ঐ খনি থেকে কয়লা উৎপাদন ,কয়লা পরিবহন ও খনিতে যে জল জমে থাকে তা বার করার জন্য যে পাম্পিং ব্যবস্থা রয়েছে, সমস্ত কিছু স্তব্ধ হয়ে যায়। বলা বাহুল্য, এই খনি থেকেই রাজ্যের বিদ্যুত কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানো হয়।




সন্ধ্যার শেষ খবর, খনির একদিকে মহিলা সহ কয়েকশো গ্রামবাসী, অন্যদিকে খনি কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকলেও খনির কাজ শুরু করা যায়নি। বিকেলের পর পাথর ছোঁড়া এবং পাল্টা লাঠিচার্জে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই কয়লা খনির এজেন্ট সন্ধ্যায় বারাবনি থানায় লিখিতভাবে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।
ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দিলীপ প্রসাদ বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল ইটাপাড়া ও বাউড়িপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে কয়লা চুরি করে সেই কয়লার জন্য ডিপো তৈরি করা হয়েছে। সেই মতো এদিন আমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪৩ মেট্রিক টন কয়লা সেখান থেকে উদ্ধার করেছি। এরপরেই প্রথমে ৫০/ ৬০ জন ও পরে আরো প্রচুর মানুষ গিয়ে কয়লা খনিটি বন্ধ করে দেন। আমরা বারাবনি থানাকে তা জানালে বারাবনি থানার একটি পুলিশের গাড়িতে একজন অফিসার সেখানে পৌঁছান।
অন্যদিকে, ঐ কোলিয়ারির এজেন্ট থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, একদল গ্রামবাসীর মধ্যে অনেকেই মুখে কাপড় বেঁধে এসে অশ্লীল ভাবে গালিগালাজ করেছে। নিরাপত্তাকর্মীদের হুমকি দেয় ও জোর করে খনিতে নেমে খনির জলের পাম্প ও মেশিনগুলি বন্ধ করে দেয়। এরফলে কয়লা উৎপাদন ও পরিবহন দিনভর বন্ধ হয়ে যায়। এর আগেও তারা এখানেই এই ধরনের কাজ করেছে। গোটা এলাকাটা জুড়েই মাফিয়াবাজি চলছে এবং তার ফলে যে কোন মুহূর্তেই বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে ।