মন্ত্রীর জাল সই করা লেটার প্যাড বিক্রি, পুলিশের জালে অভিযুক্ত ইসিএল কর্মী
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
হুবহু মন্ত্রীর সই করা লেটার প্যাড বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ। অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার পুলিশের জালে অভিযুক্ত ।
লেটার প্যাডে স্বয়ং মন্ত্রীর সই! তা দেখালেই হাসপাতাল থেকে অফিস এবং অন্যান্য একাধিক প্রয়োজনীয় কাজে মিলবে সুবিধা। এ সকল লেটার প্যাডগুলি বিক্রি করেই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করছিল এক ব্যক্তি। আর এই খবরটি সামনে আসতে গ্রেফতার করা হলো অভিযুক্তকে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত জামুড়িয়ার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন। মন্ত্রীর সই কি আদতে ভুয়ো আর যদি তা না হয়, তবে স্বাক্ষর সহ লেটার প্যাড কোথা থেকে জোগাড় করলো অভিযুক্ত, সে বিষয়ে জানতে বর্তমানে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুরিয়ার পানিহাটি ইসিএল ওয়ার্কশপে ফিটার হিসেবে কর্মরত ছিল রনজিৎ রায় নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রীর সই করা লেটার প্যাড বিক্রি করতেন ওই ব্যক্তি এবং সেগুলির বিনিময়ে প্রচুর পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি মন্ত্রীর অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের নজরে আসতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং বুধবার রনজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রনজিতের কাছ থেকে যে সকল স্ট্যাম্প কিংবা সই সহ লেটার প্যাড পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি ‘ভুয়ো’। হাসপাতাল থেকে অন্যান্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মন্ত্রীর সই করা প্যাড দেখালে যে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যেত, সে কথা এক প্রকার স্বীকার করে নেন রণজিৎ। সেই সূত্রে সে একাধিক লোকেদের এ সকল প্যাড বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করতেন রণজিৎ বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চললেও সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক কার্যালয়ের। এরপরেই শম্ভু শুক্লা নামে এক কর্মী স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তীতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়।
এ ব্যাপারে জামুরিয়া থানার ওসি রাহুল দেব মন্ডলকে ফোন করলে তিনি জানান, মন্ত্রীর সই করা লেটার প্যাড বিক্রি এবং টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে রনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। আপাতদৃষ্টিতে পুলিশের তরফ থেকে সই এবং স্ট্যাম্পগুলি ভুয়ো বলা হলেও তদন্তে কোনরকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না পুলিশ আধিকারিকরা।অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা জানতে তৎপর পুলিশ।