ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনাবসান, অবসান একটি যুগের, শোকাহত বিশ্ব
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত* :
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। ব্রিটিশ রাজপ্রসাদের এক বিবৃতিতে রানির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসও এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রানি হিসেব তাঁর দীর্ঘ জীবনে তিনি যেমন সাধারণ মানুষের কিছুটা নাগালের বাইরেই থেকেছেন তেমনি প্রাদাদে থেকেও তাঁকে ধাক্কা সামলাতে হয়েছে বেশকিছু ঘটনার। চার্লস ও ডায়নার বিচ্ছেদ। ডায়নার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো বিষয়ের ঘটনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দুনিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনারও সাক্ষী থেকেছেন তিন। তিনি দেখে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যা, মানুষের চাঁদে পা রাখা, বার্লিন প্রাচীরের ভাঙন ও কোভিডের মতো অতিমারী।
রানি এলিজাবেথের জন্ম ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল। তিনি ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সিংহাসন আরোহণ করেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকা রানি হিসেবে ২০১৫ সালে রানি ভিক্টোরিয়াকে ছাড়িয়ে যান।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্য এবং আরও ১৫ টি কমনওয়েলথ রাজ্যের রানি ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রানির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এর পর থেকে বালমোরাল প্যালেসে রানিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা। তার অসুস্থতার খবরে এদিন সেখানে ছুটে যান প্রিন্স চার্লসসহ তার সন্তান-সন্ততিরা।
রানি এলিজাবেথ শেষ সময়ে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন। এখানে গ্রীষ্মকালীন সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে তার বড় ছেলে ছিল। অসুস্থতার খবর শোনার পর অন্যরাও আসা শুরু করেন।
বুধবার ভার্চ্যুয়ালি হওয়া প্রিভি কাউন্সিলে যোগ দেননি রানি এলিজাবেথ। কারণ চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকার জন্য বলেন।