পাওয়ার লিফটিং প্রশিক্ষককে আর্থিক সহায়তা দক্ষিণবঙ্গের বনিকসভা ফসবেকির
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন করেছিলেন। সেই মতো পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পনগরী দুর্গাপুরের বাসিন্দা জাতীয় পাওয়ার লিফটার বা ভারোত্তোলক সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়ের কোচ অংশু সিংয়ের পাশে দাঁড়ালো দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ বনিকসভা ফেডারেশন অফ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ফসবেকি।
সীমাদেবীর পাশাপাশি অংশু সিং পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় জাতীয় স্তরে সেরা পারফরম্যান্স করেছেন তার দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
সোমবার তাকে আসানসোলে জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন মোড় সংলগ্ন একটি হোটেলে ফসবেকির তরফে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আর্থিক সহায়তা হিসাবে তার কোচ অনিল সিংকে ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হয় বনিকসভার। এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তার হাতে চেক তুলে দেন আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন ফসবেকির সভাপতি আরপি খৈতান, সাধারণ সম্পাদক শচীন রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি পবন গুটগুটিয়া, সহ-সভাপতি বিনোদ গুপ্ত, গৌরীশঙ্কর আগরওয়াল, অজয় খৈতান, মনজিত সিং লালী, নিখলেশ উপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে ফসবেকির সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় বলেন, সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায় জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ভালো পারফর্ম করে শিল্পাঞ্চল তথা জেলার খ্যাতি এনে দিয়েছেন। তখন সীমাকে সম্মানিতও করা হয়েছিলো সংগঠনের। সীমা একজন যোগ্য শিষ্যের দায়িত্ব পালন করে তাকে তার কোচ বা গুরু অংশু সিংয়ের আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি প্রশাসনের সাথেও যোগাযোগ করেন কোচকে সাহায্য করার জন্য। তিনি আরো বলেন, দূর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকেও একটি আবেদন ও অনুরোধ করা হয়েছিলো। সেই মতো এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয় তাকে। আমরা শুরু অংশু সিংকে নয়, খেলা ও পড়াশোনায় বাধা কাটিয়ে ভালো পারফরম্যান্স করছে, তাদের পাশে রয়েছি। তাদেরকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে।
কোচকে আর্থিক সহায়তা পাইয়ে দিতে পেরে স্বভাবতই খুশি সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়।