BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

বন্ধ হিন্দুস্থান কেবলস কারখানায় কারা করলেন বিশ্বকর্মা পুজো

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লকে বহু পুরাতন শিল্প নগরী হিন্দুস্থান কেবলস লিমিটেড কারখানা এই কারখানায় ধুম ধাম এর সাথে পালন করা হত বিশ্বকর্মা পুজো কিন্তু যেদিন থেকে এই কারখানা বন্ধ হয়ে পড়েছে সেদিন থেকে কারখানার মধ্যে বিশ্বকর্মা পুজোর ধুম শেষ প্রায় ।
কারখানার মধ্যে শুধু মাত্র গেট ছাড়া আর কিছুই নেই কেবল মাত্র গেট দাঁড়িয়ে রয়েছে আর তার চারপাশের দেওয়াল থেকে শুরু করে ভেতরের বিল্ডিন্ড সবই শেষ ।জঙ্গলে ভরা কারখানা গাছ গাছড়াও চুরি হতে চলেছে ।


তাছড়া কেবলস কোম্পানির সম্পত্তি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে 31 জন সুরক্ষা কর্মী যাদের মধ্যে এত জন বন্ধুকে ধারক রয়েছে ।আর এই31 জন সুরক্ষা কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের টাকা থেকে এই পুজো করলেন ।
একজন নিরাপত্তারক্ষী জানান তিনি এই কারখানয় বহু দিন ধরে নিরাপত্তার কাজ করে আসছেন ।তবে যেদিন থেকে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে তাদের বেতনও তারা ঠিকমত পাইনা কোনরকমে তারা সংসার চালায় ।
তারা নিজেরাই এই কারখানার মধ্যে হয়ে আসা দীর্ঘদিন এর বিশ্বকর্মা পুজোকে কোনরকমে টিকিয়ে রেখেছেন ।
হিন্দুস্থান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির সম্পাদক সুভাষ মহাজন জানান
এই কারখানা কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারনে
2017 সালের 31 সে মার্চ এই কারখানা বন্ধ করে দেয় ।তারপর থেকে হিন্দুস্থান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির তরফে বিভিন্ন দাবিদাবা নিয়ে লড়াই চলছে ।যেমন এইকারখানার যেসকল ঠিকাদার ছিল তাদের বকেয়া টাকা এখনো পর্যন্ত পাইনি তাছড়া কারখানা বন্ধ হবার সাথে সাথেই কারখানার সমস্ত জিনিস পত্র অকসেন করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে ।

এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজকেও যে 31 জন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে তারা এই হিন্দুস্থান কেবলস কারখানার অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছে ।ইউনিট হেড আর এন ওঝা এর নেতৃত্বে নিরাপত্তা রক্ষীরা নিজেরাই এই পুজো করলেন ।

একই সাথে কারখানার প্রাক্তন এক কর্মচারী পিযুষ দত্ত জানান এই কারখানা কাগজে কলমে বন্ধ হয়ে গেলেও 2017 সালের 31 শে জানুয়ারি থেকে যতজন কর্মচারী ছিল সকলে বসে গিয়েছে ।তিনি 1984 থেকে 1917 পর্যন্ত এই কারখানায় চাকরি করেছেন।
তবে একটা রাজত্ব গড়ে উঠল আর 50 বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল ।তবে আমাদের এটা প্রানের টান তাই যখন শুনলাম এখানে এখনো পুজো হচ্ছে তাই দেখতে এলাম ।তবে এইকারখানার
বন্ধ হবার পেছনে সরকারের ব্যার্থতা রয়েছে যার কারনে এত সুন্দর বিশ্ব বিখ্যাত কারখানা বন্ধ হয়ে গেল। সরকার এরতরফে কারখানাটি বাঁচানোর অনেক উপায় ছিল ।

তবে কেন্দ্র সরকার সেই রাস্তায় হাটেননি সরকার যদি একটু সচেষ্ট হতেন তাহলে এই কারখানা টি বাঁচাতে পারতেন
রি কারখানাটি টেলিফোন কেবল এর উপর ভিক্তি করে ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে মোবাইল আসার ফলে কেবল এর চাহিদা কমে হবার কারনে কারখানা বন্ধের মুখে যেতে বসে তবে সরকার চাইলে অন্য উপায় করে কারখানা টি বাঁচাতে পারতেন কিন্তু তা করিনি ।
এখানে কারখানার গেটে মেলা বসত কিন্তু সেই মেলা এখন দেখা যায়না ।কত দোকান পাট মানুষের ভীড় সবই এখন হারানো স্মৃতি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *