ASANSOL

আসানসোল সাহিত্যপ্রেমী লেখক কবি সমাবেশ  এর মহালয়ার অনাবিল শারদ উৎসব

বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত:
শনিবার আসানসোল সাহিত্যপ্রেমী লেখক কবি সমাবেশ অর্থাৎ আশালেকস – র মহালয়ার অনাবিল শারদ উৎসব এবং চতুর্দশ বর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন করা হয় জিটি রোড পুরোনো রামকৃষ্ণ মিশন মোড়ের সংলগ্ন গুপ্তা কলেজ অডিটোরিয়ামে। এই উপলক্ষ্যে প্রথমে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা দেবেশ চন্দ্র মজুমদারের ছবিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে “লাল পাহাড়ি দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা….” গানটির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় গানটির রচয়িতা অরুণ কুমার চক্রবর্তীকে সম্মান জানানো হয়, পাশাপাশি “লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের” প্রতিষ্ঠাতা সন্দীপ দত্ত এবং সাহিত্যিক ও কণ্ঠশিল্পী সমিপেন্দ্র লাহিড়ীকেও সম্মান জানানো হয়। এখানে “মশাল” নামে একটি ম্যাগাজিনও প্রকাশিত হয়। এছাড়া শিখা মণ্ডলের “শিশিরের শব্দ” ও “দশভূজা”, নীলোৎপল ভট্টাচার্যের “অন্ধ বীজের অগ্নিগর্ভ”, অশোক ভরদ্বাজের “তৃতীয় জন্ম” বইগুলি প্রকাশ করা হয়।



অনুষ্ঠান শুরু হয় গৌর শর্মার বংশীবাদনের মাধ্যমে। অভিজিৎ চন্দ এবং পিঙ্গলা চন্দ যৌথভাবে “যদি দুগ্গা আসেন” নামক ভিন্ন ধরনের আবৃত্তি পরিবেশন করেন। কাকলি দেবনাথ প্রমুখ বিভিন্ন আবৃত্তিকার তাদের আবৃত্তি পরিবেশন করেন। তারক চট্টোপাধ্যায় গান গেয়ে শোনান। সবশেষে মহালয়া পরিবেশন করা হয়।



অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী, আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ডাঃ অরুণ গুপ্তা, নিখিল চন্দ্র দাস, পার্থ চক্রবর্তী, শীতল গঙ্গোপাধ্যায়, ডঃ অরুনাভ সেনগুপ্ত, ড: আভা মল্লিক, গুপ্তা কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণ সেন, মধুমিতা জমিনদার, দেবাশীষ জমিনদার, বাচিক শিল্পী সোমা বিশ্বাস, সুমিত গাঙ্গুলী,মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য গাঙ্গুলী, সুদীপ্ত রায়, আসানসোল গার্লস কলেজের উপাধ্যক্ষ ড: সন্দীপ ঘটক, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আরো সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।



এ ব্যাপারে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী বলেন যে, “সাহিত্য সমাজের আয়না।
এটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়, তিনি বলেন সাহিত্য জগতের সাথে জড়িত মানুষদের সম্মান জানাতে পেরে নিজে গর্ববোধ করছি। এই প্রতিষ্ঠানটি বহু বছর ধরে সাহিত্য জগতে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে এবং আজকে যারা সম্মানিত হয়েছেন তারা এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *