রূপনারায়নপুরের পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন দেড়শ দুঃস্থ মানুষের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিল
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ।কোনরকম সরকারি সাহায্য ছাড়াই ১২ বছর ধরে দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়ানো এবং তাদের প্রতিদিন সন্ধ্যায় আহারের ব্যবস্থা করে আসা রূপনারায়নপুরের পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন মহালয়া উপলক্ষে প্রায় দেড়শ দুঃস্থ মানুষের হাতে তাদের পুজোর জন্য নতুন পোশাক তুলে দিলেন। একই সঙ্গে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান সোমা বন্দোপাধ্যায় এবং সাহিত্যিক তুহিন বন্দোপাধ্যায় এর পুত্র দেবাঞ্জন এর অসময়ে জ্বরে মৃত্যু হওয়ার পর তারই স্মৃতিতে এখানে একটি পাঠাগারের উদ্বোধন হলো রবিবার।
এই উপলক্ষে সোমা দেবী বলেন এমন একটা গ্রামীণ এলাকায় দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এত বছর ধরে কোনরকম সরকারি সাহায্য ছাড়াই তাদের পড়ানো, গান-বাজনা শেখানো, আবৃত্তির সাথে যুক্ত করার মত কাজকর্ম অভাবনীয়। তার উপর প্রতিবছর মহালয়ার দিনে এত মানুষকে নতুন বস্ত্র দান দেখার মত । যে সব মানুষ কোন না কোন ভাবে এই সংস্থার সাথে জড়িয়ে আছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি সম্মান জানান।
একই সঙ্গে তার কৃতি পুত্রের নামে একটি পাঠাগারের এদিন উদ্বোধন করে বলেন এখানে শুধু সাধারণ সাহিত্যের বই নয় ,এখনকার ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য যে ধরনের পড়ার বই দরকার তার সবই সরবরাহ করা হবে। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম অতিথি সমাজ কর্মী এবং সাংবাদিক ও কবি বিশ্বদেব ভট্টাচার্য কিভাবে পিস গত 12 বছরে এগিয়ে চলেছে তার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন অরাজনৈতিক এবং সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত এমন একটি সংগঠন দুঃস্থ মানুষের শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নয়নে যেভাবে কাজ করছে তা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য
।পিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শুভদীপ সেন বলেন নানান মানুষ যেভাবে এই সংস্থাকে এবং এইসব ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রত্যেকের কাছেই আমার কৃতজ্ঞতা রইল।
এদিন সন্ধ্যায় সুভাষ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে সাথে সমগ্র আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন ক্ষেত্রে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, চিকিৎসক সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, নববিকাশ সংঘ এবং রেড ভলেন্টিয়ার ও রক্তদান আন্দোলনের কর্মী দের সম্মান জানানো হয়।