আসানসোলে বিগ বাজেটের পুজো মন্ডপ পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল শহরে বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটে থিমের পুজো হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো আসানসোলের জিটি রোডের ইসিএলের মেনধেমো কোলিয়ারির দূর্গাপুজো। এই পুজো এবারে ৫১ বছরের। এবারের এই পুজোর মন্ডপ তৈরী করা হচ্ছে ” বুর্জ খলিফা” র আদলে।
এছাড়াও আসানসোল শহরের অন্য বড় পুজোগুলির মধ্যে রয়েছে আপকার গার্ডেন, কোর্ট রোড, কল্যানপুর হাউজিং এলাকার একাধিক পুজো। গত দুবছর করোনার প্রকোপ ছিলো।
তারজন্য অনেক বিধি নিষেধ থাকায় তেমন ভাবে মন্ডপে মন্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো না। পুজো কমিটিগুলোও বড় বাজেটের পুজো গত দুবছর তেমন ভাবে করেওনি। কিন্তু এই বছর তা নেই। সেই কারণে পুলিশ প্রশাসনের মনে হচ্ছে, এবারে মন্ডপে মন্ডপে আগের মতোই ভিড় হবে।
সোমবার দুপুরে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তম মেনধেমো পুজো সহ আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার বেশ কয়েকটি মন্ডপ পরিদর্শন করেন । তার সঙ্গে ছিলেন ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) কুলদীপ এস এস, ডিসিপি ( ট্রাফিক) আনন্দ রায়, এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাস, আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু ও আসানসোল (দক্ষিণ) পিপি আইসি অনন্ত রায়।
প্রতি পুজো মন্ডপের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনার সহ অন্য আধিকারিকরা কথা বলেন। কি কি করতে হবে, তা পুজো কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য সব পুজো কমিটিকে জানানো হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে পুলিশ কমিশনার বলেন, করোনার প্রকোপ চলে যাওয়ায় এবার ভিড় বেশি হবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তাই আমরা আগে থেকেই সব পরিকল্পনা করে রাখছি। ইতিমধ্যেই বৈঠকে কি কি করতে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার কিছু পুজো মন্তপ পরিদর্শন করেছিলাম। এদিন আরো কিছু করলাম। বেশ কিছু মন্ডপ তৈরী করা হচ্ছে অতি দাহ্য পদার্থ দিয়ে। তাতে আগুন লাগার একটা সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা তা আটকাতে এইসব পুজো কমিটিকে দমকল বিভাগের সঙ্গে কথা বলানো হয়েছে। যাতে তাদের পরামর্শ মতো কিছু স্প্রে করা হয়। নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলোকে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী রাখতে বলা হয়েছে।