জেলে জেরার অনুমতি পেলো ইডি
আইনজীবী না আসায় হলো না সায়গল হোসেনের জামিনের শুনানি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ নভেম্বর হবে বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন।
এদিন সকালে আসানসোল জেল থেকে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। যদিও এজলাসে সেহগাল হোসেনের তরফে কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তাই জামিনের কোন আবেদন করা হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই হয়নি কোন শুনানিও। তাই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সেহগাল হোসেনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ নভেম্বর হবে। তবে এদিন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও সহ সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক ও সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার আদালতে এসেছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ, এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিলো।
২৯ সেপ্টেম্বর সেহগালের জেল হেফাজতে থাকার মেয়াদ ১১২ দিন পার হলো। এদিন তার জামিনের শুনানি না হওয়ায় আরো ৩৬ দিন জেলে থাকতে হবে।
অন্যদিকে, এরইমধ্যে গরু পাচার মামলায় আরো একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি তদন্তে এবার সায়গল হোসেনকে জেরা করার অনুমতি পেলো। দিন কয়েক আগে আসানসোল জেলে গিয়ে সেহগালকে জেরার জন্য ইডির তরফে তাদের আইনজীবী সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদন করছিলেন। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যে কোন সময় ইডির আধিকারিকরা আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করতে পারবেন। জেরার সময় ইডির অফিসাররা জেলের মধ্যে কিছু নিয়ে যেতে চাইলে, তারজন্য জেল সুপারের অনুমতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গতঃ, এর আগে ইডির তরফে গরু পাচার মামলার তদন্তে নিজেদের হেফাজতে সায়গলকে নিতে ও আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করতে দিল্লির আদালতে আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু দিল্লি আদালতের বিচারক তা খারিজ করে দেন। আদালতের তরফে বলা হয়েছিলো, নিম্ন আদালত বা সিবিআইয়ের মামলা যে আদালতে চলছে, সেখানে গিয়ে আবেদন করতে। সেই মতো দিন কয়েক আগে ইডির দুই আইনজীবী আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এসে বিচারকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপরই সায়গলকে জেরা করার অনুমতি পেলো ইডি। এর আগে অবশ্য, ইডি সায়গলের মা ও স্ত্রীকে নোটিশ দিয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।