ASANSOL

১০০ বছরে আদি দূর্গাবাড়ির পুজো উদ্বোধনে মন্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল , সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়: আসানসোল শহরের প্রথম সার্বজনীন দুর্গাপূজো এই বছর শতবর্ষ পূরণ করলো। আসানসোল শহরের জিটি রোডের রাহালেনে সেই পুজো আদি দুর্গা বাড়ির পুজো বলে পরিচিত। শুক্রবার পঞ্চমীর সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে ১০০ বছরের এই পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকে ও আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তরুণ বন্দোপাধ্যায় সহ অনেকেই। এই পুজোর সূচনা হয়েছিল ১৯২৩ সালে।



আদি দুর্গাবাড়ী সম্বন্ধে ক’টি কথাঃ


উদ্যোক্তারা জানান আমরা আসানসোল শহরে প্রথম সার্বজনীন দুর্গাপুজোর সূচনা করি ১৯২৩ সালে । বর্তমান মন্দির প্রাঙ্গণে নয় , পুজো হয়েছিল রেলস্কুলের পুরোনো ছাত্রাবাসের সামনে , জি.টি.রোডের ধারে যেখানে এখন ‘ চন্দ্র এণ্ড সন্স ‘ ইত্যাদির দোকান আছে । কয়েকবার সেখানে পুজো হওয়ার পর তদানীন্তন ( বৃটিশ ) সরকারের খাসমহলে জায়গায় পুজোর অনুমতি না পাওয়া গেলে পুজোমণ্ডপ পরিবর্তিত হ’ল বর্তমান ইষ্টার্ণ রেলওয়ে গার্লস স্কুলের সামনে । তারপর জি টি রোড ও হসপিটাল রোডের সংযোগস্থলে কালিবাড়িতে পুজো হয় দু/এক বছর ।



১৯৩৭ সালে ‘ পাঁচুগোপাল মল্লিক মহাশয় হতে বৰ্ত্তমান পুজো মন্দিরের জায়গা দুর্গাপুজো কমিটির পক্ষে কেনা হয় । জমি হ’ল কিন্তু মন্দির নেই । সেই অসুবিধা দূর করার উদ্দেশ্যে কমিটির সম্মতিক্রমে ডাঃ অতুল চন্দ্র লাহিড়ী মহাশয় নিজ ব্যয়ে পুজোমণ্ডপ ও সামনের বারান্দা নির্মাণ করিয়ে দেন । ১৯৭০ সালে নির্মিত হয়েছে মন্দিরের সামনের প্রশস্ত নাটমন্দির । ১৯৭২ সালে যোগ হয়েছে মন্দিরের পিছনে মায়ের ভোগমন্দির । পরবর্তীকালে আসানসোল পুরনিগমের সহায়তায় হয়েছে আদি দুর্গাবাড়ীর সৌন্দৰ্য্যায়ন । তৈরী হয়েছে একটি ঘর । আদি দুর্গাবাড়ীর উদ্যোগে দুর্গাপূজা ছাড়াও , লক্ষ্মীপূজা , কালীপূজা , জগদ্ধাত্রী পূজা , অন্নপূর্ণা পূজা ও রামনবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয় । শতাব্দী প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠান উৎসবের আড়ম্বরে নয় , হৃদয়ের নৈকট্যে সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *