BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

মাইথন থার্ড ডাইকের জমি নিয়ে বিবাদ ও বচসা নৌকা চালক এবং আদিবাসীদের মধ্যে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, আসানসোল। মাইথন থার্ড ডাইকের জমি নিয়ে বিবাদ ও বচসা নৌকা চালক এবং আদিবাসীদের মধ্যে চরম আকার নিল।বুধবার সকাল থেকে আদিবাসীরা থার্ড ডাইকে এসে বিক্ষোভ দেখায়।তাদের দাবি তাদের ধর্মীয়স্থানের জায়গা থেকে অবিলম্বে নৌকা সরিয়ে দিতে হবে।পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে দুপুরে এসিপি (কুলটি )সুকান্ত ব্যানার্জি, ভিডিও অদিতি বসু, সালানপুর থানার আধিকারিক অমিত হাটি, পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান,সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং, ব্লকের আইএনটিটিইউসি সভাপতি মনোজ তেওয়ারী,দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রঞ্জন দত্ত সহ পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়।


তারা দুইপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে সাময়িক রূপে আদিবাসীদের ধর্মস্থল থেকে তালতলা পর্যন্ত নৌকা সরিয়ে দেয়। ওখানে বোর্ড লাগানো যে হয়েছিল সেটাও সরাতে বলা হয়। আগামী ১৮ নভেম্বর দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে মীমাংসা সূত্র বের করতে আলোচনা করা হবে। পুলিশের ও রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাসে পরিস্থিতি বিকেলে স্বাভাবিক হয়।


ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় আদিবাসীদের মন্দিরের সামনে দিন কয়েক আগে নৌকা চালকরা এক সাইন বোর্ড লাগায়।আর তারই জেরে শুরু হয় বিবাদ।আদিবাসীদের ২২মৌজার তরফে প্রতিবাদে শুরু হয় আন্দোলন।আদিবাসীদের অভিযোগ তাদের ধর্মস্থল দখল করতে ওই বোর্ড লাগিয়ে জায়গা দখল করতে চাইছে নৌকা চালকরা।তাই তাদের ধর্মস্থল রক্ষা করতে এই আন্দোলন।তবে নৌকা চালকরা জানায় তাদের পূর্ব পুরুষ এই জায়গায় নৌকা চালিয়ে এসেছে। জায়গা দখলের কোন বিষয় নেই।যেজায়গায় নৌকা চালায় সেই জায়গাকে সাজানো উচিত বলে বিভিন্ন জায়গায় বোর্ড লাগানো হয়েছিলো।তবে যদি এমনি ভাবে তাদের নৌকা সরিয়ে দেওয়া হয় তবে তারা যাবে কোথায়।নৌকা চালিয়ে প্রচুর মানুষের সংসার চলে।এখন প্রশাসনের উপর সব ভরসা।তারা আগামী সভায় কি মীমাংসা করে তার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো ।ইতিমধ্যে শীত পরছে এবং পর্যটক রাও আসা শুরু হয়েছে। এর ফলে যদি ওই জায়গায় আমাদের নৌকো চালাতে না দেয় তাহলে আমাদের আয় কমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *