রানীগঞ্জের গ্রামে আবারো ধসের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ: আবারো ধসের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো, রানীগঞ্জের এগারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাউল হিড় গ্রামে। ২০১৭ সালে এই গ্রামেরই শেষ প্রান্তে ধসের ঘটনা ঘটার পর, এবার ফের ২০২২ এর এই ধসের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। গ্রাম থেকে মাত্র ২৫ ফুটের দূরত্বে ধসের এই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষজন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/11/Screenshot_2022_1123_153934.jpg?resize=500%2C330&ssl=1)
স্থানীয়দের দাবি ইসিএল কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে খনি ভরাট না করার কারণে এই বিপত্তি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বুধবার সকালেই ছাগল চরাতে যায় এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা, সে সময়েই ধসের ঘটনা লক্ষ্য করে তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেন এক বিশাল এলাকা জুড়ে জঙ্গলের মাঝে ধ্বস নেমেছে, আর তা দিয়েই বের হচ্ছে ধোঁয়া। এরপরই এলাকার অন্য সকল বাসিন্দাদের এই ঘটনা জানানোর পরই তারা পুলিশ প্রশাসনকে ঘটনার খবর দেয় তারা।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ই সিএল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তারা। পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে অমৃতনগর কোলিয়ারি থেকে এক আধিকারিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। যদিও তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায় সাত ফুট বাই ৮ ফুট চওড়া হয়ে ধ্বস নেমেছে যা খনিগহ্বরের দিকে এগিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য ২০১১ সালে এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে, তাদের একটি পুনর্বাসনের কার্ড ও দেয় প্রশাসন। তারপর তাদের পুনর্বাসনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। গ্রামীণদের দাবি আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। ইসিল কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে বারংবার ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাদের দাবি এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ইসিএল, একই সাথে ওই এলাকাটিকে সংরক্ষণের দাবিও করেন তারা। এদিন ওই এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়িতেও ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি স্থানীয় অংশের বেশ কিছু মাঠে ময়দানে ফাটল বেয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে, যার জেরে আরো আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এখন দেখার এ নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তার অপেক্ষায় রয়েছেন এলাকাবাসী।