PANDESWAR-ANDAL

লক্ষীর ভান্ডারের ৫০০ এর বদলে ২ হাজার, ক্ষমতায় এলে ঘোষণা বিজেপি রাজ্য সভাপতির, আবারও ডিসেম্বরের হুঁশিয়ারী

পান্ডবেশ্বরে বিজেপির সভা, বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার বার্তা মিঠুন চক্রবর্তীর

বেঙ্গল মিরর, পান্ডবেশ্বর রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* বর্তমান রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডারের ৫০০ টাকার পরিবর্তে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ২ হাজার টাকা করে দেবে। শনিবার বিকেলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পান্ডবেশ্বর বিধান সভার ঝাঁঝড়া কলোনিতে বিজেপির আসানসোল জেলা ” পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন ” থেকে এমনই ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একইভাবে এদিনের সভা থেকে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সেই ডিসেম্বর মাসের হুঁশিয়ারী দিলেন।


এই সভা থেকে জেলার পঞ্চায়েত এলাকার নেতা ও কর্মীদের আরো বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার ও তাদের সঙ্গে কথা বলার বার্তা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সভায় আসা নেতা ও কর্মীদের অভাব অভিযোগ শোনেন মিঠুন চক্রবর্তী। অনেকেই বলেন, দলের জেলা নেতাদের পাওয়া যায় না। কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, কাকে দরকার? কার সঙ্গে কথা বলবেন? আমি বলে যাচ্ছি, সবাই দেখা করবেন। না হলে আমায় বলবেন। আমি পরে আবার যখন আসবো, খোঁজ নেবো।
মিঠুন সভায় বলেন, মানুষের কাছে যান। মনে রাখবেন পাহাড় নিচে আসবে না। মানুষকে পাহাড়ের কাছে যেতে হবে। আমাকে সুপারস্টার কে বানিয়েছে? মিডিয়া বানায়নি। এই মানুষেরাই তাদের ভালোবাসা দিয়ে আমাকে এই জায়গায় নিয়ে গেছেন। মানুষকে নিয়ে আসতে হবে। এই কাজটা কন্টিনিউস করে যেতে হবে। চেষ্টা করতে হবে। তবে তো।


সভায় রাজ্য সভাপতি বলেন, ডিসেম্বর মাসটা আসতে দিন। দেখবেন কি হয়। সবাইকে জেলে যেতে হবে। কয়লা চোর, বালি চোর কেউ ছাড় পাবেন না। গলা ধাক্কা দিয়ে সবাইকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানকার বিধায়ক কি বলেছিলো, হাত কেটে দেবে।দেখা যাবে, কে কার হাত কাটে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের বলছি, ৫০০ টাকায় কি হয়? সংসার চলে? আপনারা ৫০০ টাকার জন্য রাস্তায় রাস্তায় পতাকা লাগাচ্ছেন। আর দেখুন পার্থদার বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তৃনমুল কংগ্রেসের নেতাদের কুকুরের জন্য ফ্ল্যাট ও বাগানবাড়ি কেনা হচ্ছে।


সুকান্ত মজুমদার বলেন, শুনলাম শাসক দলের যুবনেত্রী ( সায়নী ঘোষ) কাল এখানে সভা করতে আসছেন। তাকে আপনারা জিজ্ঞেস করবেন কেন তিনি শিবলিঙ্গে ওটা পড়িয়েছিলেন। ভগবান শিবকে যে অপমান করে, সে হিন্দু? আমরা তার প্রতিবাদ করায় বলা হয়েছিলো, আমরা সাম্প্রদায়িক। একশো বার বলবো। তাতে সাম্প্রদায়িক হলে, হবো। এটা অন্য ধর্মে হলে কি হতো?
দলের পঞ্চায়েত এলাকার নেতা ও কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাজ্য সভাপতি বলেন, ভয় পাবেন না। লড়াইয়ে জন্য প্রস্তুতি নিন। পঞ্চায়েত ভোটে জোর লড়াই দিতে হবে।
এদিনের সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ দে, দুই বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *