বাড়ির ভেতর থেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগে তদন্তে পুলিশ, আনা হলো কুকুরও
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও বারাবনি, রাজা বন্দোপাধ্যায়, মনোজ শর্মা ও দেব ভট্টাচার্যঃ বাড়ির ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের বারাবনি থানা এলাকায়। প্রাথমিক অনুমান, ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে ঐ যুবককে খুন করা হয়েছে। মৃত যুবকের নাম মনৎ মন্ডল (৩৪) বারাবনি থানার বেলিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় সে দিনমজুর ছিল। ঐ যুবকের সঙ্গে একই ঘরে থাকত তার ছোট ভাই সনৎ মন্ডল। এই ঘটনা ও যুবকের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তার ভাইকে সেখানে দেখতে পাওয়া যায়নি। মনৎ মন্ডল বিবাহিত হলেও সাম্প্রতিককালে তার স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকতেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, প্রতিদিনের মতোই রবিবার রাতে মনৎ মন্ডল তার বাড়ির ভেতরের ঘরে শুয়েছিল। রাতে বা তারপর কোন সময়ই তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। নিজের বিছানার উপরেই পড়েছিল তার রক্তাক্ত দেহ। মনতেরনঘাড়ে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়ায় ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে পড়েছে রক্ত।
সোমবার দুপুরের এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই বেলিয়াপুর গ্রামে মনৎ মন্ডলের বাড়ির সামনে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা। আসেন বারাবনি ব্লকের ইটাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উত্তম মাঝিও। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারাবনি থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশ কুকুরও। পুলিশ কুকুর দিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তবে তেমন কিছু তথ্য বা ক্লু পুলিশ কুকুর বার করতে পারেনি। বিকেলের পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রতিবেশীদের সূত্র থেকে জানা গেছে, একই বাড়িতে দুই ভাই সনৎ মন্ডল ও মনৎ মন্ডল একসঙ্গে থাকতেন। বর্তমানে বাড়িতে আর কেউ থাকতো না। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ও কি কারনে এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে বারাবনি থানার পুলিশ বলে এক আধিকারীক জানান। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় একটি খুনের মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। মনে করা হচ্ছে পারিবারিক বিবাদ বা জমি সংক্রান্ত কোনো ঘটনার কারণে এই খুন হয়ে থাকতে পারে।