RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জের আমড়াসোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘেরাও করে বিক্ষোভ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : হঠাৎ রে রে করে তেড়ে গিয়ে, নিজেদের দাবি আদায়ের, পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ধরল মহিলারা, যদিও মুহূর্তে পুলিশ প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ঘটনাস্থলে পৌঁছে সামাল পরিস্থিতি। সোমবার সিপিএমের নেতৃত্বে রানীগঞ্জের আমড়াসোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে, বাঁশড়া এলাকার অসংখ্য এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ১৭ দফা দাবি কে সামনে রেখে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর বাঁশড়া কোলিয়ারি ও বাঁশড়া গ্রাম শাখা। এই কর্মসূচিতে পুরুষদের পাশাপাশি ব্যাপক সংখ্যায় মহিলারা একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সে সময় পঞ্চায়েত কার্যালয় পঞ্চায়েত প্রধান না থাকায় বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ আরও দীর্ঘতর হয়। পুলিশ প্রশাসন বোঝাতে থাকেন যে পঞ্চায়েত প্রধান নেই কার্যালয়ে আপনারা একটু শান্তি বজায় রেখে বিক্ষোভ দেখান। এই জানান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের পুলিশ শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকে, আর সেসময়ই পঞ্চায়েত দপ্তরের ভেতরের গেট দিয়ে, পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান এসে পৌঁছন।

এই বিষয়টি লক্ষ্য করেই মহিলা বিক্ষোভকারীরা একপ্রকার প্রায় ধেয়ে আসেন পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করেই।তাদের দাবি, তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্পর্কে বারংবার জানানোর পর পঞ্চায়েতের প্রধান কোনরূপ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, এই দাবি করে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে একপ্রকার বচসায় জড়িয়ে পড়েন তারা। যদিও সেই মুহূর্তেই পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঢুকে পড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি পঞ্চায়েত প্রধান নানান অজুহাতে যাদের ন্যায্য বাড়ি পাওয়ার অধিকার রয়েছে, তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করে বঞ্চিত করেছেন। অনেকের এও দাবি যে অনেক বিধবা মহিলা রয়েছেন যাদের বিধবা পেনশন পাওয়ার কথা তারা বিধবা পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদন জানালেও, প্রধান নানান অজুহাতে তাদের বিধবা পেনশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন, বাড়ি বাড়ি জলের ব্যবস্থা নেই রাস্তার ধুলো খেয়ে কাটছে দিন। এমনই সব নানান বিষয় নিয়ে তারা পঞ্চায়েত প্রধানের দপ্তরে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন।

যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে আগামীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিলে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। যদিও এরপর পঞ্চায়েত প্রধানের দপ্তর থেকে বেরিয়ে মাইক ধরে তারা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে চরম হয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে সিপিএম নেতৃত্ব ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন এই হুঁশিয়ারি দিয়ে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পন্ন করেন। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিশেষভাবে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় রানীগঞ্জের বিধায়ক তথা সিটু নেতা রুনু দত্ত , সুপ্রিয় রায়, হেমন্ত প্রভাকর, দিব্যেন্দু মুখার্জী, সঞ্জয় হেমব্রম প্রমূখ কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *