ASANSOL

আসানসোলে নাট্যগোষ্ঠী “চর্যাপদ” আয়োজিত নাট্যোৎসব ও সেমিনার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত*: ঝকমকে চারদিন, ২০,২১,২২ ও ২৩ ডিসেম্বর আসানসোল মাতলো নাট্যমেলায়।
আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে ঘড়ির কাঁটা ধরে, প্রতিদিন বিকেল ৫:৩০ মিনিটে আয়োজিত হল দশম “চর্যাপদ” নাট্যগোষ্ঠীর আয়োজিত নাট্যোৎসব। প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ওই চারদিনে৷ স্বেচ্ছা ও সাধ্য মূল্যের বিনিময়ে দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহ পরিপূর্ণ করেন। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বামী শিবারূপানন্দ মহারাজ, নাট্য আকাদেমির সদস্য বিজয় মুখার্জি, চর্যাপদের প্রতিষ্ঠাতা রুদ্র প্রসাদ চক্রবর্তী। বিভিন্ন দিনে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল মিসকল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জি, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও এডিডিএ চেয়ারম্যান ও রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, বার এ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি অমিতাভ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।


9



ওই চারদিনে মোট ১২ টি অসাধারণ নাটক উপস্থাপিত হয় এই নাট্যমেলায়। তাই স্লোগান ছিল “দশে বারো”।
পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের নাট্যদলগুলির মধ্যে, পূর্ব বর্ধমানের গ্রাফ ও ইনসাইড আউট উপস্থাপন করেন ‘বারিশ’ ও ‘একানব্বই মাধ্যমিক ব্যাচ’। পশ্চিম বর্ধমানের অমিও মেমোরিয়াল ক্রিয়েটিভ আর্টসের ‘সুখের চাবি, দোমোহানী বাজার নাট্যসেনার ‘সামনে এসো’, কথাভাষ্যের ‘হায় নিত্যানন্দ’, প্রত্যয়ীর ‘দ্যা পারফেক্ট মার্ডার’, আসানসোল রেপার্টারী থিয়েটারের ‘সিদ্ধিদাতা’ ও আয়োজক চর্যাপদের নবনাট্য ‘মদন কান্ড’ মঞ্চস্থ হয় অত্যন্ত সফলতার সাথে.



এই নাট্যোৎসবে কোলকাতা থেকে আগত নাট্যদল শোহন, বালিগঞ্জ ব্রাত্যজন, নাট্যিক কোলকাতা ও দমদম শব্দমুগ্ধ নাট্যদল। তারা উপস্থাপন করেন যথাক্রমে ‘সরল অঙ্ক’, ‘দহনকাল’, লাভ এন্ড লক ও ‘নবাব’ নামক প্রযোজনাগুলি অত্যন্ত সফলতার সাথে।
এবছর ‘চর্যাপদ চারুকলা সম্মান’ প্রদান করা হয় নাট্য ব্যক্তিত্ব অনীশ ঘোষ, রাকেশ ঘোষ, বিজয় মুখার্জি ও আভাস ভট্টাচার্যকে৷ ‘চর্যাপদের মুখ’ সম্মান পান চর্যাপদের প্রশিক্ষণার্থী ঐশী কর। দর্শকদের জন্য তারা প্রদান করেন ‘নাট্যমিত্র সম্মান’, প্রাপক মধুমিতা জমিদার ও দেবাশীষ জমিদার।

রবীন্দ্রভবন চত্তরে আয়োজিত হয় প্রদর্শনীর, যার শিরোনাম ”দ্যা ফার্স্ট ডিকেড”।

এছাড়াও আয়োজিত হয় নাট্য বিষয়ক নাট্যালোচনা। বিষয় “থিয়েটারে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা।”

প্রথম দিনই প্রকাশিত হয়, চর্যাপদের নাট্যপত্রিকা “এবং নাটক” এর উৎসব সংখ্যা।
চর্যাপদের পরিচালক রুদ্র প্রসাদ চক্রবর্তী সংস্কৃতি মস্ত্রকের পাশাপাশি আসানসোল পৌরসভা, রবীন্দ্র ভবন কর্তৃপক্ষ, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও আসানসোলের নাট্যামোদী দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন আগামীদিনে তারা আরও সুন্দর করে এই আয়োজন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *