আসানসোলের নাগরিকদের জন্য ২০২৩ সালে রয়েছে অনেক উপহার : মেয়র বিধান উপাধ্যায়

পানীয় জল পৌঁছে যাবে প্রতিটি বাড়িতে, সেলফি জোন, পাইকারি বাজার

বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়* : ২০২৩ সালের শুরুর পর সোমবার আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায় নতুন বছরে শহরের উন্নয়নে করণীয় কাজের কথা জানিয়ে বলেন, ২০২৩ সালে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতায় লক্ষ লক্ষ নাগরিককে অনেক উপহার দিতে চলেছে আসানসোল নগরনিগম। আসানসোলে বিশ্ব বাংলা গেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং এই বছরেই সমস্ত গেট তৈরি হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছবে।

আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আসানসোলের জ্যাম সমস্যা। জ্যামের সমস্যা মোকাবিলায় এ বছরই এ সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। যাতে আসানসোলের বাসিন্দাদের জ্যামের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এলাকার উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাবে। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এই উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করার জন্য আসানসোলবাসীদের অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জুবিলি মোড়ে সেলফি জোন আই লাভ আসানসোল প্রস্তুত। যার জন্য এলাকাবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে জায়গাতে পাইকারি বাজার তৈরি করা হচ্ছে সেখানে খুব শিগগিরই বর্তমান পাইকারি বাজারকে ওই জায়গায় বদলি করা হবে। কিছু কাজ বাকি আছে, সেটাও শেষ হবে। পাইকারি বাজারের লোকজন যা দাবি করছে, সে ধরনের কোনো অভিযোগ বা তথ্য তাদের কাছে আসেনি।

আসানসোল ফ্রুট হোলসেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন যেখানে নতুন পাইকারি বাজার তৈরি করতে চায়, মার্কেটে ৪০০ দোকানদার থাকায় জায়গাটি তাদের জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন মাত্র ৪০টি দোকান দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দোকান দেওয়া হচ্ছে। সমিতির দাবি, সবজি, মাছ ও ফল পাইকারি বাজারে এক জায়গায় দেওয়া হোক, যাতে পরিবহনের সুবিধা হয়। আসানসোলের কালী পাহাড়ি এলাকার বাইপাস বাজারে যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সমিতি। ওই ব্যবসায়ীগন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং ডিএমকেও এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছে যে তাদের একসাথে অন্য কোথাও বদলি করা হোক, কিন্তু সরকার কোনও কর্ণপাত করছে না। বর্তমানে দোকানদাররা যে জায়গায় বসবাস করছেন সেটি খুবই জরাজীর্ণ, যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। সকালে মাল লোড করার সময় জ্যামও হয় প্রচুর।