ASANSOL

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বেশ কয়েক বছর ধরে চলছিলো বলে অভিযোগ। আর তার জেরে স্বামীকে খুন করানোর অভিযোগ উঠলো স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নাম উঠে এসেছে প্রেমিকের নাম। ধৃত স্ত্রীর নাম সাবিত্রী রুইদাস। মঙ্গলবার ধৃতকে ৭ দিনের হেফাজত চেয়ে আসানসোল জেলা আদালতে পাঠায় আসানসোলের কুলটি থানার পুলিশ। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত সাবিত্রী রুইদাসের প্রেমিক জনৈক সনু রায়ের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কুলটি থানার বরাকরের বাসিন্দা সনু এই খুনের ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা রয়েছে। পুলিশ তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ ও ১২০/বি নং ধারায় একটি মামলা করেছে৷



এদিকে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় সাবিত্রীর স্বামী মৃত রাজু রুইদাসের। জানা গেছে, তার শরীরে একাধিক ছুরির কোপ রয়েছে। দূষ্কৃতি তার উপর অতর্কিতে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছিলো। তার হাত, বুক ও পেটে ছুরির কোপ রয়েছে। দূষ্কৃতি যখন তার উপর হামলা চালায়, তখন সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ডানহাত দিয়ে। তাতে সেই হাতে কোপ মারা হয়। এরপর এলোপাতাড়ি দূষ্কৃতি কোপানো শুরু করে। শেষ কোপ মারা হয় রাজুর তলপেটে। সেই কোপের জোর এতটাই ছিলো যে, ছুরি কোমরের হাড়ে আটকে যায়। এরপর দূষ্কৃতি রাজুর বাড়ি থেকে পালায়।
সোমবার বিকেল চারটের পরে আসানসোলের কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ির অন্তর্গত জনকপুরা এলাকার বাড়ি থেকে রাজু রুইদাসের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, তাকে ছুরি মেরে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার সময়, রাজুর বাড়িতে তার স্ত্রী ও বছর দুয়েকের বাচ্চাকে পাওয়া যায় নি। পরে পুলিশ তার স্ত্রীর খোঁজ পায়। তাতে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ।


রাজুর মামা বজরঙ্গি রুইদাস সোমবার বলেছিলেন, ভাগ্নের সঙ্গে তার স্ত্রী সাবিত্রী রুইদাসের প্রায় অশান্তি হত। সাবিত্রী এর আগে সনু রায় নামে এক যুবকের সঙ্গে ঘর থেকে চলে গেছিলো। পরে সে আবার ফিরে আসে। তার অনুমান ছিলো, এই ঘটনায় ঐ যুবক জড়িত থাকতে পারে।
জানা গেছে, রাজু রুইদাসের আসল বাড়ি কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ির বিড়ি ডাঙা এলাকায়। গত দুমাস ধরে সে এই জনকপুরা এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকছিলো।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় একটি খুনের মামলা করা হয়েছে। মৃত যুবকের স্ত্রীকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার প্রেমিকই এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার বেশ কিছুক্ষুন আগে রাজুর বাড়ির অদূরে একটা সিসি ক্যামেরার তাকে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *