RANIGANJ-JAMURIA

সাইবার ক্রাইমের প্রতারণার দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে : ডিসি

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : বছরের প্রথম দফায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানায় মঙ্গলবার মিট ইউর অফিসার ও ফিরে পাওয়া কর্মসূচির আয়োজন করা হল। যেখানে এদিন রানীগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে, জমি জমা সংক্রান্ত সমস্যা, রাস্তার যানজটের সমস্যা ও তার সমাধান, অপরাধ রুখতে এলাকার নজরদারির ক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন তা নিয়ে আলোকপাত করলেন ডিসিপি সেন্ট্রাল ডক্টর সুরেশ কুলদীপ সনোয়ানে। সাথে উপস্থিত হন এসিপি সেন্ট্রাল টু শ্রীমন্ত ব্যানার্জি, এসিপি ট্রাফিক প্রদীপ মন্ডল, রানীগঞ্জের ইন্সপেক্টর সুদীপ দাশগুপ্ত সহ তিনটি ফাঁড়ির আইসি।

তারা রানিগঞ্জের বণিক সংগঠন, এলাকার কাউন্সিলর ও জনপ্রতিনিধিদের সাথেই কথা বলে সমস্যা দূরীকরণে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা নিয়ে আলোকপাত করেন। ডিসিপি এলাকার মধ্যে নজরদারি বাড়াতে ও ক্রাইম রুখতে আরও সিসিটিভি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়ার সাথেই, এই সময়ের সব থেকে বড় সমস্যা সাইবার ক্রাইম, তা রোখার লক্ষ্যে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তার দাবি অন্যসব নথির সাথে সাইবার ক্রাইম হলেই সাইবার ক্রাইম দপ্তরের দ্রুত পৌঁছে নির্দিষ্ট অফিসার কে ট্রানজেকশন আইডি, ও ক্রেডিট কার্ড নাম্বার দিলে সাইবার ক্রাইম দ্রুত রোখা অনেকটা সম্ভব হয়।

তিনি তার বক্তব্যে দাবি করেন, বিগত বছরে সাইবার ক্রাইমের প্রতারণার হাত থেকে প্রায় ৯৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আগামীতে এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। যা সকলকে সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে সজাগ করে তোলার পরই, সম্ভব বলেই জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি সাইবার ক্রাইম রোখার জন্য একটি বিশেষ নাম্বার ডায়াল করার আবেদন জানান, যার মাধ্যমে দেশের সর্বত্রই সাইবার ক্রাইম মোকাবিলার সহায়তা পাওয়া যাবে বলেই দাবি করেন। সেই নাম্বারটি হল ১৯৩০, তা দ্রুত ডায়াল করে নিজের অসুবিধের বিষয়গুলি জানানোর আবেদন জানান তিনি। এদিনের এই কর্মসূচির পর ফিরে পাওয়া কর্মসূচির মাধ্যমে পুলিশ রানীগঞ্জ এলাকার ৪২ জন উপভোক্তাকে তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *