ASANSOL

লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ ভার্মার ১৩ দিনের সিবিআই হেফাজত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচে থাকা অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ ভার্মাকে ১৩ দিনের হেফাজতে পেলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন।
বুধবার সকালে রত্নেশকে আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগার থেকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয়। রত্নেশের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বাইরে থাকায় তিনি এদিনের শুনানিতে তিনি ভার্চুয়াল অংশ নিয়েছিলেন। এজলাসে ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার ও এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও। সওয়াল-জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী রত্নেশের জামিনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন করেন। শেষ পর্যন্ত সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর সিবিআইয়ের অফিসাররা গাড়িতে রত্নেশকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তবে গাড়িতে উঠার সময় রত্নেশ সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।


রীতিমতো চমক দিয়ে মঙ্গলবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলো রত্নেশ ভার্মা । সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তার জামিন নাকচ করে ১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রত্নেশ ভার্মা ও বিনয় মিশ্রকে কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে পলাতক বা ফেরার ঘোষণা করা হয়েছিল। জানা গেছে, ২০১৯ ও ২০২০ সালে পরপর দুবার এই ঘোষণা করা হয়েছিলো। বহুদিন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিলো সিবিআই। কিন্তু তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না সিবিআই। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার খানিকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করল রত্নেশ ভার্মা।


আসানসোলের বার্ণপুরের নরসুমদা কোলিয়ারি এলাকার বাসিন্দা এই রত্নেশ ভার্মা। সিবিআইয়ের অফিসাররা দুবার তার বাড়িতে গিয়ে নোটিশ লাগিয়েছিলেন। কথা বলা হয়েছিলো পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে। তার সম্পত্তিও ক্রোক করার প্রক্রিয়া আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছিলো।
প্রসঙ্গতঃ, সিবিআই এই কয়লা পাচার মামলায় ৪১ জনের নাম সহ চার্জশিট আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দিয়েছে। তাতে রত্নেশের নাম রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *