ফিল্মি কায়দায় অন্ডালে ছিনতাই করে চম্পট, তিন জনকে সিসিটিভি সূত্রে শ্রীপুরে ধরল পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : একেবারে ফিল্মি কায়দায় ধুম মাচা দে স্টাইলে, ছিনতাই করে চম্পট দেওয়া, দুটি বাইকে থাকা ৪ দুষ্কৃতি দলের তিন জন কে সিসি টিভি ক্যামেরার সূত্র ধরে, ধরে ফেলতে সক্ষম হল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটা ছিনতাই এর ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় থাকায় ও সিসিটিভি ফুটেজের বিষয়গুলি লক্ষ্য করে, এবার আরো একবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুড়িয়া থানার, শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ পেল বড়সড় সফলতা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ অন্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ি এলাকায় রানীগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছে ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। আর এই খবর বনবহাল ফাঁড়ি হয়ে, অন্ডাল থানায় খবর পৌছতে না পৌঁছতেই, সবকটি থানার পুলিশ সতর্ক হয়ে যায়। খবর যায় জামুরিয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকাতেও। বিষয়টি শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি শেখ রিয়াজউদ্দিন এর কাছে পৌঁছতেই তিনি ফাঁড়ির মধ্যে থাকা সিসি টিভি ফুটেজকে বিশেষভাবে নজর দিয়েই দুই বাইক চালকের গতিবিধি রহস্যজনক লক্ষ্য করে তাদের ছবি সংগ্রহ করেই পায় সফলতা। মুহূর্তে সবকটি থানার পুলিশ চাঁদা মোড় লাগোয়া
অ্যারোড্রামের কাছেই তাদের গতিবিধির লক্ষ্য করে অভিযান চালাতেই, তারা বাইক ছেড়ে দৌড় লাগাতে শুরু করে।
পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে, তিন অভিযুক্তকে ধরে ফেলে ঘটনাস্থল থেকেই। ধৃতরা হল জামুড়িয়ার বোরিং ডাঙ্গার বাসিন্দা, বছর তিরিশের গণেশ বাদ্যকর, জামুরিয়ার চুরুলিয়া রক্ষাকালী তলার বাসিন্দা বছর তেত্রিশের নাসির সাহা ও বছর উনিশের শেখ সোহেল। যদিও পুলিশ ওই ধৃত যুবকদের কাছে কি উদ্ধার করেছেন, সে বিষয়টি এখন তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করেনি পুলিশ। উল্লেখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা দিন অত্যাধুনিক হওয়ার কারণে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ক্রাইম কন্ট্রোল অনেকটাই হয়েছে, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামীতে ক্রাইম কন্ট্রোল এর জন্য এই সিসিটিভি ক্যামেরা দিকে দিকে আরো বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।