ASANSOL

এবার কয়লা খনির তৃতীয় নয়ন হতে চলেছে উন্নত মানের ড্রোন

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ।আসানসোল। কয়লার মজুত ভান্ডারের পরিমাণ থেকে শুরু করে অবৈধভাবে কয়লা খনন, কয়লা চুরি সহ সমস্ত কিছুর সমীক্ষা করার জন্য এবার কয়লা খনির তৃতীয় নয়ন হতে চলেছে উন্নত মানের ড্রোন ।কোল ইন্ডিয়ার এই পাইলট প্রজেক্ট ইস্টার্ন কোল ফিল্ডের মুগমা এরিয়ায় আর কয়েকদিনের মধ্যেই চালু হবে। ই সি এল এর চিফ সিকিউরিটি অফিসার শৈলেন্দ্র সিং জানান এই বিষয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে। শীঘ্রই আশা করা যায় এর কাজ শুরু হবে মুগমা এরিয়ার বিভিন্ন খনি এলাকায় । অন্যদিকে মুগমা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার দেবেন্দ্র কুমার নায়েক বলেন ইসিএল তার ১১ টি এরিয়ার মধ্যে মুগমা এরিয়াতেই এই পাইলট প্রকল্পরূপে চালু করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কিভাবে কোথায় কোথায় কাজটা হবে তার তথ্যটা আমার হাতে এসে এখনো পৌঁছয়নি। আশা করছি শীঘ্রই এই কাজ শুরু করার তথ্য এসে পৌঁছবে।


জানা গেছে সেন্ট্রাল মাইনস প্ল্যানিং এন্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা সাধারণত কোথায় কয়লা আছে বা কতটা কয়লা আছে তার সমীক্ষা করে থাকেন ।সেটাও ড্রোনের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ই সি এল এর বিভিন্ন চালু কয়লা খনিতে বিশেষ করে মুগমা এরিয়ার বিভিন্ন খনিতে ব্যাপকভাবে কয়লা চুরির হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। এই এরিয়ার খনি এলাকার মধ্যেই পড়ে আসানসোল ধানবাদ দিল্লি গ্র্যান্ড কর্ড লাইন ।মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে সেই রেল লাইনের কাছাকাছি অবৈধভাবে কয়লা কাটা হচ্ছে। এই নিয়ে আসানসোলের ডিআরএম ইসিএলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একাধিক চিঠিও দিয়েছেন। এই চুরির যাবতীয় তথ্য অত্যন্ত উন্নত মানের ড্রোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে এবং সেই মতো ইসিএল আধিকারিকরা ব্যবস্থা নেবেন। খনি শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সেই কাজগুলোর একটা বড় অংশ ড্রোন করতে পারবে। আর তা দেখার জন্য দক্ষ একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হচ্ছে বলেও ইসিএল এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন।


আরো জানা গেছে যেখানে কয়লাগুলো মজুদ হচ্ছে এবং পরিবহন হচ্ছে তারও ছবি ড্রোন থেকে পাওয়া যাবে। চিফ সিকিউরিটি অফিসার শৈলেন্দ্র সিং বলেন এই বিষয়টা নিয়ে অনেক দিন ধরে চেষ্টা চরিত্র করা হচ্ছিল ।এখন ইস্টার্ন কোল ফিল্ডের পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এখানে কাজ শুরু করতে চলেছে। এখানে সফল হলে অন্যান্য কোলিয়ারিতেও এই কাজ হবে। পুরো খনি এলাকায় এবং সংশ্লিষ্ট যদি কোনও বসতি থাকে তাহলে সেই এলাকার উপরেও নজর রাখতে পারবে এই শক্তিশালী ড্রোন। এতে অবৈধ খনন এবং কয়লা তোলা ও পাচার সমস্তটাই ধরা পড়বে। যে কর্মীরাই এই ড্রোনের বিভিন্ন কাজে অংশ নেবেন তাদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে তিনি জানান ।এটা সাধারণ ড্রোন নয়, এটা অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মূল্য লক্ষ্যাদিক টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ই সি এল এর শিল্পাঞ্চলের এক জেনারেল ম্যানেজার বলেন এতে সবচেয়ে বেশি কয়লা চুরির সন্ধান এবং চোরেদের সন্ধান মিলবে। ফলে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রক্ষা করার ক্ষেত্রে এই তৃতীয় নয়ন বড় কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *