ASANSOL

আসানসোল জেলে এসে রত্নেশ ভার্মাকে এক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই অফিসারের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Coal Smuggling Case ) কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজির ( Anup Maji Lala ) ঘনিষ্ঠ হিসাবে তার ব্যবসার বেশিরভাগটাই দেখতো সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা কয়লা ব্যবসায়ী রত্নেশ্বর ভার্মা ( Ratnesh Verma ) । গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সে আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে আছে । আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তার জামিনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়ে আছে।


তার আগেই আদালতের অনুমতি নিয়েই শুক্রবার এই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সহ অন্য অফিসাররা আসানসোল জেলে আসেন। তারা প্রায় এক ঘন্টার মতো জেলে থেকে রত্নেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা গেছে । তবে এনিয়ে সিবিআইয়ের অফিসাররা মুখ খুলতে না চাননি।
তবে সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ জুলাই রত্নেশ্বর ভার্মার বাড়ি থেকে পাওয়া ডজনখানেক ল্যাপটপ, হাফ ডজন মোবাইল, দুটি পেনড্রাইভ ও প্রায় ৪০০ পাতার তথ্য নিয়েই একাধিক প্রশ্ন করা হয় তাকে। রত্নেশ ভার্মার প্রধান কাজ ছিল কোলিয়ারি থেকে কয়লা তুলে ও সেই কয়লা পাচার সহ ইসিএলের আধিকারিক থেকে শুরু করে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী, ইসিএল নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য জায়গায় যোগাযোগ রাখা। সেই কাজও তিনি কিভাবে করতেন তা নিয়েও প্রশ্ন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই জিজ্ঞাসা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সিবিআইয়ের তরফে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বলে সূত্র থেকে জানা যায়। এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে পরে মনে করা হচ্ছে, এই কয়লা পাচার মামলায় আরো একাধিক ইসিএল আধিকারিক বা কর্তাদেরও নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই।


প্রসঙ্গতঃ, কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই চার্জশিটে নাম থাকা বিনয় মিশ্র রত্নেশ ভার্মাকে পলাতক বলে আগেই আদালতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাদের সম্পত্তিও ক্রোক করার নোটিশও জারি করা হয়েছে । এরই মধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি রত্নেশ আচমকা আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। একদিন জেল হেফাজতে থাকার পরে ১ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তাকে ১৩ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সে আসানসোল জেলে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *