পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ১৫ জন কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল জেলা প্রশাসন
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, আসানসোল ।
পশ্চিমবঙ্গে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে কাজকর্মের নিরিখে প্রথম হওয়া পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রায় ১৫ জন কর্মীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিল। এদের মধ্যে ১১ জনকে কারণ দর্শানোর জন্য পর্যায়ক্রমে চিঠি পাঠানো হল । আপাতত প্রাপ্ত বেতনের নির্দিষ্ট কিছুটা অংশ কেটে ফেরত দেওয়ার জন্য ৪ জন কর্মীকে বলা হয়েছে ।
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের রাজ্যের সিইও সাবিনা আজিম সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই বিভাগের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার জন্য এসেছিলেন । তিনি একাধিক সহায়তা কেন্দ্র গুলোতেও যান। তিনি মূল্যায়ন করে জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেন ৯৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭ টি কেন্দ্রে কাজকর্ম অত্যন্ত ভালো। এর মধ্যে কোন কোন কেন্দ্রের কোথাও কোথাও কাজের মান বিশেষ করে যারা কাজ করছেন তেমন অন্তত ১৫ থেকে ২০ জনের কাজের মান ঠিক নয় । এরই পরিপ্রেক্ষিতে চিহ্নিত করে দেওয়া হয় তাদের।
জানা গেছে জেলার ৯৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩২ টি কেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ,বিডিও দপ্তর ,জেলা শাসক ও মহকুমা শাস্তরে ১১ টি কেন্দ্র। আসানসোল এবং দুর্গাপুর পুরসভাতে আছে ৩০ টি কেন্দ্র। বাকিগুলি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা অন্যত্র জায়গায় আছে। সব মিলিয়ে ৯৫ টি কেন্দ্রে ১৮১ জন কাজ করে এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে। জমির খাজনা দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদন, এমনকি ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে অনলাইনে তার আবেদন সহ সমস্ত প্রকল্পের আবেদন করা যায়।
জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরে জেলা আধিকারিক এবং এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমজিত চক্রবর্তী জানান আমরা রাজ্যের মধ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র এক নম্বরে আছি। তাকে ধরে রাখার জন্যই আমাদের রাজ্যের সর্বোচ্চ আধিকারীক কয়েকদিন আগে এই জেলায় এসে একাধিক কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করেছেন।তিনি অবশ্যই আমাদের উৎসাহিত করেছেন। ওনার পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ১০/
১১ জনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি তাদের নিজস্ব এলাকায় কাজের মান কেন খারাপ সেটা জানতে চেয়ে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই অন্তত চারজনকে আমরা চিঠি পাঠিয়ে তাদের বেতনের অংশ ফেরত দিতে বলেছি। একজন কর্মী সর্বোচ্চ ৪৪ দিন ছুটি পাওয়ার কথা। সেখানে কেউ কেউ না জানিয়ে ১০০ বা ১২৫ দিন পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন। কাজ না করে ওই সময়ের নেওয়া বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে । যে সময় তারা অফিসে আসেননি বা ছুটির কোন অনুমোদন নেই তার জন্য তাদেরও আলাদা করে চিঠি দেয়া হয়েছে কারণ দশাতে বলা হয়েছে ।এছাড়াও যাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাদের উত্তর পাওয়ার পর পরবর্তী কি ব্যবস্থা নেয়া যায় তাও দেখা হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি নবান্ন কেও জানানো হবে। যাদের এইসব চিঠি ধরানো হয়েছে তাদের মধ্যে একাধিক ব্লক এবং পৌরসভা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীরা আছেন।