প্যান কার্ড ও আধার লিংক করাননি, এখন 1000 টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে , দিশেহারা মানুষজন
৩১ শে মার্চ পর্যন্ত রয়েছে সময়সীমা তারপরে অকেজ হয়ে যাবে প্যান কার্ড
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী এতদিন যাঁরা আধার ও প্যান কার্ড লিংক করাননি, তাঁদের এখন এটি করানোর জন্য 1000 টারা জরিমানা দিতে হচ্ছে ৷ এই নির্দেশিকায় দিশেহারা পশ্চিমবর্ধমান জেলা-সহ সালানপুর ব্লকের মানুষজন । ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন প্রত্যেকে ৷ আধার আর প্যান কার্ড লিংক করা নিয়ে আতঙ্কে মানুষ । কারণ লিংক করতেই লাগছে 1100 টাকা। আবার এই লিংক না করালেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে প্যান কার্ড।তাও আবার মাস ফুরোলেই দাঁড়াতে পারে 5 থেকে 10 হাজার টাকায় । আধার ও প্যান লিংক করাতে কেন এত টাকা লাগবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা ।
প্যান কার্ড ও আধার কার্ডের সংযুক্তির জন্য সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় এই জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷নয়া নির্দেশিকায় সময়সীমা বাড়ানো হলেও, তার সঙ্গে গ্যাঁটের কড়ি খসাতে হচ্ছে ৷ যে কোনও সাইবার ক্যাফে অথবা অনলাইনে এই আধার ও প্যানের মধ্যে লিংক করতে গেলে তারা নিচ্ছে এক হাজার টাকা ৷ সঙ্গে প্রসেসিং চার্জ হিসেবে কেউ নিচ্ছে 50 টাকা তো কেউ নিচ্ছে 100 টাকা । কেউ আবার 200 টাকাও নিচ্ছেন ।
এত টাকা খরচ করেও লিংক করাতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন ৷ নইলে আগামী দিনে টাকা লেনদেন করতে পারবেন না গ্রাহকরা ৷ কেন্দ্রের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা 31 মার্চের পর আধার ও প্যান কার্ডের লিংক করবেন না, তাঁদের আরেকবার সুযোগ দেওয়া হবে । তবে লাগতে পারে পাঁচ হাজার টাকা ৷ পরিমানটা দশ হাজারও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে ৷ অথবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে প্যান কার্ড ।এই নিয়েই চরম হয়রানি ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জেলায় । লোকজন তাঁদের নিজের কাজকর্ম বাদ দিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আধার ও প্যান কার্ড লিংক করাচ্ছেন ৷ এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে জেলার মানুষের মধ্যে।
এই
বিষয়ে কিছু মানুষ জানান যাঁরা কোটিপতি, বড়লোক, তাঁদের তো কোনও সমস্যা হচ্ছে না ৷ কিন্তু আমাদের মতো খেটে খাওয়া দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা সমস্যায় পড়ছে । সেই 2016 সাল থেকে তো শুধু লাইনই দিয়ে গেলাম । পেটের জন্য ভাবব নাকি এই লিংক করে করে সরকারের খেসারত দেব ?”এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসক দল।সালানপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আরমান বলেন, “হিটলারি শাসন চলছে । যার জন্য গরিব মানুষরাই বেশি সমস্যায় পড়ছে ।এইসব অঞ্চলে বেশির ভাগ মানুষ দিনাআনে দিন খাই তারা কোথায় পাবে এত টাকা ।একটি পরিবারে যদি পাঁচজন থাকে তাহলে সেই পরিবারে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে কোথায় পাবে এত টাকা । তিনি জানান প্রসেসিং ফি কমানোর দাবি জানানো হয়েছে । অনেক মানুষের লিংক এখনও করা হয়নি ।তাই সময় সীমা বাড়ানো হোক অথবা টাকা কমানোর দাবি থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ।