শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে, প্রাক্তন ব্লক সভাপতির উপস্থিতিতে কুলটিতে বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মেলন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা ও কর্মীরা আবারও পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি বিধানসভায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো। রবিবার তারা তার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর ব্যানারে। এদিন কুলটির একটি হলে বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সম্মেলন হয়। সেখানে প্রাক্তন কুলটি ব্লক সভাপতি বিমান আচার্য, রাজ্যের প্রাক্তন যুব সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কুলটি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চু রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজা চট্টোপাধ্যায় সহ শতাধিক কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
তৃনমুল কংগ্রেসের এই নেতারা বলেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটিতে তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। যারা দায়িত্বে আছেন তারাই পুরনো নেতা ও কর্মীদের অবহেলা করছেন। তাই বঞ্চিত তৃণমূলের নামে তারা ঐক্য করছেন। এ দিন কর্মী সম্মেলনে এইসব নেতারা খোলাখুলি বলেন, কুলটি ব্লকের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল পুরনো কর্মীদের পাত্তা দেওয়া হয় না। ব্লক নেতৃত্ব সাহায্য করেনা। কোন মিটিং-মিছিলে পুরনো কর্মীদের ডাকা হয় না। কিছু চোর ডাকাত এখন কুলটিতে সংগঠনে যোগ দিয়েছে। এই নীতি মেনে নেওয়া যায় না। এই কারণেই কুলটি বিধানসভার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই হারতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। ব্লক সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু কারোর মত নেওয়া হয়নি। সেই কারণেই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে এই পরিস্থিতির কথা জানাবেন বলে জানিয়েছেন। একই নেতারা সরাসরি না হলেও, আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে, এর পেছনে রয়েছেন দলের জেলা চেয়ারম্যান।
এইসব কিছু অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান তথা কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্লক সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার কোনও ভূমিকা নেই। দলের উচ্চ নেতৃত্ব ঐ পদের জন্য যোগ্য লোককে বেছে নিয়েছেন। তার দাবি, এইসব যারা করছে, তারা দলকে দুর্বল করে, বিজেপির হাত শক্ত করছে। তৃণমূলে থেকে কিছু লোক বিজেপির জন্য কাজ করছে।যারা গত পুরনিগম নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তারা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন। তিনি বলেন, সংগঠনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু কেউ না এলে তো হাত-পা ধরে কাউকে আনতে পারব না। তৃণমূল কংগ্রেসে অপরাধ করে ও অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেইসব মানুষদের কোন জায়গা নেই, যারা এইসব বলছেন তারা ভুল বলছেন। দলের চেয়ারম্যান বলেন, আমাকে বা অন্য কাউকে দেখে দল করতে হবে না তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে দেখে দলটা তো করুন।