DURGAPUR

কয়লা ও হোটেল ব্যবসায়ী রাজু ঝা কে গুলি করে হত্যা

বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, চরণ মুখার্জি ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: Breaking* : রাজু ঝাকে গুলি করে হত্যা । কয়লা ও হোটেল ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের শক্তিগড়ে। শক্তিগড়ের ল্যাংচা দোকানের কাছে কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে চা পান করছিলেন রাজু ঝা। ওইসময় খুনিরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়

File photo

শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানে সামনে চা, ঝালমুড়ি খাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হল, আসানসোল দুর্গাপুর খনি অঞ্চল, শিল্পাঞ্চলের কোল মাফিয়া নামে এই খ্যাত রাজু ঝাঁ। জানা গেছে দুষ্কৃতি দল খুব কাছে থেকেই তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে, গাড়ির মধ্যে দুই ব্যক্তি চা, ঝালমুড়ি খাওয়ার সময়ই অতর্কিত দুষ্কৃতি দল ওই গাড়িকে লক্ষ্য করে এলো পাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি ছোড়ে তারা। একটি নীল রঙের গাড়িতে করে হঠাৎ তাদের পাশে এসেই গুলি ছুঁড়তে থাকে। তার সঙ্গে থাকা অপর ব্যক্তি ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা কি উদ্দেশ্যে করল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আকস্মিকভাবে ঘটা এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খনি অঞ্চল শিল্পাঞ্চলে। কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুর এলাকায় একটি গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল। এবার কয়লা পাচার চক্রের যুক্ত থাকা এই রাজু ঝাঁয়ের হঠাৎ করেই আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁঝরা যারা হয়ে যাওয়ায়, ভয়ের আবহ সৃষ্টি হয়েছে খনি অঞ্চল শিল্প অঞ্চলে। জানা গেছে রাজু ঝাঁর, দুর্গাপুরের দুটি অংশে বাড়ি ছিল। এছাড়াও বিহারের শিবানের বাসিন্দা ছিল রাজু বলে জানা গেছে। রানীগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড়ে ও তার বাড়ি ছিল ও তার বাড়ির আত্মীয়রাও রয়েছে বলে জানা যায়। শনিবার সন্ধ্যায় আকস্মিক ঘটা, এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক পুলিশি তল্লাশি ও তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গেছে কয়লার কালোজগতে কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বামফ্রন্টের শাসনকালে শিল্পাঞ্চলে অবৈধ কয়লা ব্যবসা চালানোর করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। একই সময়ে, তৃণমূল সরকারে আসার পরে, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলাও নথিভুক্ত করা হয়। ২১ ডিসেম্বর, ২০২০-তে বিজেপির যোগদান মেলায় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর বিজেপিতে সক্রিয়তা বেড়ে যায়। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনেও টিকিট পাওয়ার কথা ছিল। এর পরে, ২০০৫ সালে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানায় রাজু ঝা-এর বিরুদ্ধে কয়লা চুরির মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলায় রাজু ঝা নামে অন্য কেউ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এই জাল হাজিরা আদালতের হাতে ধরা পড়ে, এরপর আদালত রাজু ঝা-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আত্মসমর্পণের পর ওই মামলায় রাজু ঝাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে রিমান্ডে নেয় সিআইডি। এরপর সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *