ASANSOL

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও কর্মীদের ধর্ণা অবস্থান, হাইকোর্টে মামলা উপাচার্যের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের কাজ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্ণা অবস্থান চালাচ্ছেন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, শিক্ষা কর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশ। মুলতঃ উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে এই আন্দোলন চলছে গত ১৩ মার্চ থেকে। এই আন্দোলন অসংবিধানিক ও বেআইনী এই মর্মে সোমবার হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে তার শুনানির দিন এখনো মেলেনি। এই মামলার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় তরফে আমি এই মামলা করেছি।

তিনি আরো বলেন, প্রায় এক মাস হতে চলল এই আন্দোলন। সাম্প্রতিক কালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছে যে ধর্ণা দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার থাকলেও, যত্র তত্র যখন তখন ধর্ণা দেওয়া যায় না যদি তা অন্যদের অধিকার খর্ব করে। এই রায়ে আরও বলা হয়েছে যে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্ণার নামে দীর্ঘদিন দখলদারি চালিয়ে গেলে ধর্ণায় অংশগ্রহণকারীদের উচ্ছেদ করা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। হাইকোর্টে করা মামলায় এই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবার কলেজগুলিতেও নতুন করে ভর্তির ব্যবস্থা শুরু হবে। পড়ুয়াদের পড়াশোনা সহ জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা বিষয়টিও রয়েছে। যা উচ্চ শিক্ষা দপ্তর ইতিমধ্যেই নির্দেশ আকারে পাঠিয়েছে। কিন্তু এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার মত পরিবেশ এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। কেননা উপাচার্যকে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অধ্যাপক, অধ্যাপিকা থেকে পড়ুয়া এবং কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন উপাচার্য পদত্যাগের দাবিতে।


এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার জেলা সভাপতি অধ্যাপক বীরু রজক বলেন, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ধর্না হচ্ছে। কারোর কোনও ক্লাস নষ্ট না করেই এটা করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের পড়ার কোন ক্ষতি হয়নি। উপাচার্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং স্বৈরতন্ত্র তান্ত্রিক মনোভাবের প্রতিবাদে, তার পদত্যাগ দাবি করে আমাদের এই আন্দোলন প্রায় ১ মাস হতে চললো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *