ASANSOL

তিহার জেল থেকে ভার্চুয়াল শুনানি, শরীর ভালো নেই অনুব্রতর, ইডি ফলস্ কেসে ফাঁসিয়েছে ইডি, দাবি সায়গলের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ গরু পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা না করায় মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার রাতে মেয়ে সুকন্যা মন্ডলকে ইডি দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করেছে। স্বাভাবিকভাবেই হয়তো তার মন ভালো নেই। সে কথা অনুব্রত মণ্ডল নিজের মুখে না বললেও, বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, তার শরীর স্বাস্থ্য ভালো নেই।
এদিন, আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি শুনানি ছিল বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। এই শুনানির ১২ ঘন্টা আগেই অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার তিনদিনের হেফাজতে নিয়েছে ইডি।


এদিন শুনানির একবারে প্রথমেই অনুব্রত মণ্ডলের কাছে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান, তার শরীর কেমন আছে? উত্তরে তিনি বিচারককে বলেন, স্বাস্থ্য ভালো নেই। বিচারক তখন বলেন তার কোন ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে তাহলে তা বলুন। আমি জেলারকে সেটা জানাবো। যদিও অনুব্রত এর কোন উত্তর দেননি। এরপরেই অনুব্রত বিচারককে বলেন, আসানসোল জেলে আমি ফিরে যেতে চাই। উত্তরে বিচারক বলেন, এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আপনার মামলা বিচারাধীন আছে। সেখানকার রায় যা হবে তা কার্যকরী হবে। আমি কিছু করতে পারিনা।


এরপর তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি বিচারকের সাথে কথা বলা শুরুতেই অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল বলেন, ইডি তাকে ফলস্ কেস বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তার জামিনের ব্যবস্থা করা হোক। ফলস্ কেস শব্দটা তিনি দুবার উচ্চারণও করেন। তখন বিচারক তার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার আসানসোল জেলে ফেরার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন আছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, যদি তিহার জেলে কোনো অসুবিধে হয় তাহলে সেখানকার জেলারকে জানাতে হবে।
পরে অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী শেখর কুন্ডু এবং সায়গলের আইনজীবী অয়নজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যেহেতু দিল্লি হাইকোর্টে তাদের আবেদন বিচারাধীন তাই এদিন জামিনের কোন আবেদন এখানে করা হয়নি।


এদিন সায়গলের আইনজীবীর তরফে, তার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা গয়না ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তোলা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও দুজনের ক্ষেত্রেই তেমন কোনো কিছু আলাদা করে সওয়াল জবাবে দাবি করা হয়নি। তবে সায়গলের গয়নার ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, এর আগে কিছু গয়নার রিপোর্ট এসেছে। বাকি গয়নার রিপোর্ট এখনো আসেনি। তাই এই ব্যাপারে এখন কিছু করা যাচ্ছে না। আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী রায় দিয়ে বলেন, দুজনেরই ক্ষেত্রে আগামী ১১ মে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *