ASANSOLASANSOL-BURNPUR

বার্ণপুরের ঘটনা, দামোদরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলো তিন স্কুল পড়ুয়া

বেঙ্গল মিরর, বার্ণপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে বার্নপুরের দামোদর নদীতে দুটি পৃথক ঘটনায় স্নান করতে গিয়ে তিন পড়ুয়ার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিরাপুর থানার পুলিশ ও জেলস বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকারী দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে উদ্ধারের জন্য। যদিও রাত নটায় এই খবর লেখা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা যায়নি। তলিয়ে যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন আসানসোলের ডিএভি স্কুলের পড়ুয়া ও একজন হিরাপুর থানার বার্নপুরের আলমনগরের বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ।


হিরাপুর থানার অন্তর্গত ভূতনাথ মন্দিরের কাছে এবং নেহেরু পার্কের পেছনে দামোদর নদী ঘাটে শুক্রবার স্নান করতে যাওয়া ৬ কিশোরের মধ্যে ৩ জন নদীতে ডুবে তলিয়ে গেছে। নিখোঁজ তিন পড়ুয়ার নাম হল আতিকুল খান ( ১৪) পীযূষ প্রসাদ (১২) ও রাহুল পন্ডিত (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে আলমনগরের বাসিন্দা তিন কিশোর নেহেরু পার্কের পেছনে বালু ঘাটের কাছে দামোদর নদীতে স্নান করতে যায় । তখন আলমনগরের বাসিন্দা শাকিল খানের ১৪ বছর বয়সী ছেলে বার্ণপুরের স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া আতিকুল খান নদীতে তলিয়ে যায়। তার সঙ্গে থাকা দুই তুতো ভাই তারা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে । শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা বেঁচে ফেরে। কিন্তু আতিকুলের খোঁজ মেলেনি। সে তলিয়ে যায়।


অন্যদিকে, আসানসোলের বস্তিন বাজারের বাসিন্দা তিন পড়ুয়া বার্ণপুরে ভূতনাথ মন্দিরের কাছে দামোদর রেল সেতু পেরিয়ে ওপারের দিক থেকে সাঁতুড়ি এলাকার দামোদর নদীর ঘাটে স্নান করতে গেছিলে। বস্তিন বাজারের বাসিন্দা পীযূষ প্রসাদ (১২) ও রাহুল পণ্ডিত (২০) নদীর জল কম থাকায় অন্য পাড়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ঐসময় দুজনকে নদীতে ডুবে যেতে দেখে তৃতীয় কিশোর নদী থেকে কোনমতে বেঁচে ফিরে আসে।
ভূতনাথ মন্দিরের কাছে দামোদর ঘাট থেকে দু’জনের স্কুল ব্যাগের সঙ্গে রাখা আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। দুজনেই আসানসোল ডিএভি ১-এর পড়ুয়া। অনুমান, এই তিন পড়ুয়া স্কুল থেকে বেরিয়ে বার্ণপুরে দামোদর নদীতে স্নান করতে গেছিল। হিরাপুর থানার ওসি প্রসেনজিৎ রায় বলেন, তিনজনেরই খোঁজ চলছে। হিরাপুর পুলিশের সঙ্গে সাঁতুড়ি থানার পুলিশও আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *