ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালে নজির সৃষ্টি চিকিৎসকদের, প্রথম ” পেনলেস নরমাল ডেলিভারি “

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ এক প্রসূতির ” পেনলেস নরমাল ডেলিভারি” করিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এই প্রথম এই ধরনের সন্তান জন্ম ও প্রসব হলো আসানসোল জেলা হাসপাতালে। জেলা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ বিনীতা কুমারী ও এ্যানাসথেটিস্ট ডাঃ হৃষীকেশ মিত্রের নেতৃত্ব ও পর্যবেক্ষণ তাদের টিম এই অসাধ্য সাধন করেছেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের আলমনগরের বাসিন্দা নেহা খাতুন নামে ঐ প্রসূতির শারীরিক অবস্থা সন্তান জন্মের ২৪ ঘন্টা পরে একবারে স্বাভাবিক রয়েছে দুই চিকিৎসক সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন। জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস চিকিৎসকদের এমন একটা চেষ্টায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


মেডিকেল সায়েন্স বা চিকিৎসা শাস্ত্রে একে বলা হয় ” পেনলেস লেবার “। ” এ্যাপিডুরাল এ্যানাসথেসিয়া ” পদ্ধতিতে ” ব্যাথাহীন সন্তান প্রসব ” বা ” পেনলেস লেবার ” হয় বলে জানান দুই চিকিৎসক ডাঃ বিনীতা কুমারী ও ডাঃ হৃষীকেশ মিত্র। তারা বলেন, রবিবার সকালে নেহা খাতুন নামে ঐ প্রসূতি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপরই আমরা তার ” পেনলেস লেবার ” করানোর প্রক্রিয়া শুরু করি। রবিবার সন্ধ্যার পরে তিনি এই পদ্ধতিতে তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। সাধারণতঃ মা বা প্রসূতিরা ” লেবার পেন ” বা ” সন্তান প্রসবের যন্ত্রণা ” সহ্য করতে পারেননা। তখন পরিবারের সদস্যরা সিজার বা অস্ত্রপচারের কথা বলেন। কিন্তু আমরা সব সময় চেষ্টা করি নরমাল ডেলিভারি করানোর। দুই চিকিৎসক বলেন, এই প্রসূতির ক্ষেত্রে আমরা এই পদ্ধতি সফল করতে পেরেছি। প্রসূতি সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে বা পরে কোন ব্যথা অনুভব করেননি।


জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এই পদ্ধতিতে ডেলিভারি করানোর চেষ্টা হয়েছিলো। কিন্তু তা সফল হয়নি। কিন্তু এবার আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তা করতে পারলেন।
জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, অবশ্যই এরা একটা ভালো দৃষ্টান্ত হলো। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভালো বার্তা যাবে।
এইভাবে জন্ম দেওয়ায় নেহা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যরাও খুব খুশি।
জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার হয়না। কলকাতা ও অন্য রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে এই পদ্ধতিতে ডেলিভারি করানো হয়। যা খুবই ব্যয় সাপেক্ষ। মোটামুটি এই ধরনের ” পেনলেস লেবার” এ খরচ দেড় লক্ষ টাকারও বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *