ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

রানিগঞ্জে বিস্ফোরণে বাড়িতে ফাটল, কয়লাখনি ও অফিসে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, রানিগঞ্জ, চরণ মুখার্জি, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃবাড়িতে বাড়িতে কয়লাখনির বিস্ফোরণের জন্য আতঙ্ক গ্রাস করা আসানসোলের রানিগঞ্জের তিরাটের গ্রামবাসীরা সোমবারের পর মঙ্গলবার আবারও দিনভর খনিতে ও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন। লাঠি নিয়ে যাওয়া মহিলাদের দেখে ভয়ে পালান খনির অফিসে কর্মরত কর্মীরা। এরপর অফিস ঘর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল চেয়ার টেবিল সহ বিভিন্ন সামগ্রী। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।


ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, রবিবার ও সোমবার পর পর দুদিন তিরাট এলাকার বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে । আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন মানুষেরা। এর প্রতিবাদে সোমবার গ্রামের বাসিন্দারা এলাকায় বিক্ষোভ দেখালেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। সোমবার রাতে আবারও ফাটল হয় বাড়িতে বাড়িতে। আওয়াজ হয়। প্রতিবাদে তারা সোমবার বেলা ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তাতে কাজ না হওয়ায় সোমবার রাতে আবার একই ঘটনা ঘটে। তিরাটের গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সোমবার বিক্ষোভ মিটে যাওয়ার পর, সেদিন রাতেও ফের বিস্ফোরণ ঘটানোর ঘটনা ঘটে। এরপর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিশাল সংখ্যায় গ্রামের মহিলা, পুরুষেরা, একত্রিত হন কয়লাখনি এলাকায়। মহিলাদের হাতে লাঠি ছিলো। তা নিয়ে তারা কয়লা খনির মধ্যে ঢুকে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখান। এর মধ্যে একদল মহিলা খনি কর্মী যারা অফিসে থাকেন, সেখান থেকে তাদেরকে বার করে দিয়ে, চেয়ার, টেবিল বাইরে ছু্ঁড়ে ফেলে দেন।

এইসব দেখে বেশ কয়েকজন খনি কর্মী কয়লা খনি ছেড়ে পালান। পরে এই খবর পুলিশ প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়। তড়িঘড়ি পুলিশের বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে শান্ত করার চেষ্টা করেম। পরে এদিন দুপুর প্রায় আড়াইটা নাগাদ ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার এরিয়া পার্সোনাল ম্যানেজার সঞ্জয় ভৌমিক বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে জানান, তারা একটি কমিটি গঠন করে ব্লাস্টিং বা বিস্ফোরণ কেমনভাবে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবেন। গ্রামবাসীদের বাড়িঘরে ও গ্রাম এলাকায় ব্লাস্টিংয়ের কোন প্রভাব যাতে না পড়ে সে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেই তিন আশ্বস্ত করেন। এরপরই বিক্ষোভ উঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *