ASANSOL

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালকে পাল্টা আইনজীবীর চিঠি উপাচার্যের

রাজ ভবনের সঙ্গে সংঘাত চরমে, বরখাস্তের নির্দেশ প্রত্যাহারে পদত্যাগের কথা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* কেটেও যেন কাটছে না পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা। এবার সংঘাত চরমে পৌঁছালো বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীর।
এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীর সঙ্গে তার পদত্যাগ করার দাবি নিয়ে সংঘাত চলছিলো সেখানকার অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, শিক্ষা কর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে। এবার তা মোড় নিলো সরাসরি রাজ ভবনের দিকে। গোটা বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গেলেও, জট কাটেনি, তা অন্ততঃ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে।



এদিন উপাচার্য বলেন, রাজ্যপাল তথা আচার্যের আমাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ প্রত্যাহার করার চিঠি পেয়েছি। কিন্তু তিনি তাতে আমাকে শর্ত হিসাবে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন। কিন্তু তা তিনি পারেন না। পাশাপাশি তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ বৃহস্পতিবার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা মানেননি। আমি আইনজীবী মারফত বিচারপতিকে বলেছিলাম আচার্য নির্দেশ প্রত্যাহার করলে, আমি স্বেচ্ছাবসর নিয়ে পদত্যাগ করবো বলেছিলাম। আচার্যের আইনজীবী বলেছিলেন, আমার বরখাস্তের নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে। তাই আমি এদিন আইনজীবী মারফত রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমার নিয়োগ বা বরখাস্ত করার নির্দেশে সই করেন আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল। কিন্তু আমার বরখাস্তের নির্দেশ প্রত্যাহারের চিঠিতে সই করেছেন রাজ্যপালের সচিব। তা তো হতে পারে না। আমি তা বলেছি বিচারপতি যা বলেছেন, তা করতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যাহারের চিঠিতে আচার্য সই করবেন। তবে, আমি পদত্যাগ করবো। কেন না, এটা আমার কাছে অসম্মানের।


প্রসঙ্গতঃ, গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল আচমকাই কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত করেন। দুদিন পরে সোমবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারকে এই ব্যাপারে তাদের মতামত হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *