জামুড়িয়ায় তৃনমুল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অফিসে ডেকে সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ দলেরই কর্মীদের বিরুদ্ধে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ তৃনমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি ও জনসংযোগ যাত্রা শেষ করে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা সফর শেষ করার পরে ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে।
তারই মধ্যে আসানসোলে জামুরিয়া ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটিতে আরো কয়েকজনের নাম ঢোকানোর দাবি জানিয়ে মারধর করা হলো দলেরই জামুরিয়া ব্লক সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ রানা ওরফে সুব্রত অধিকারীকে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সুব্রত অধিকারীর অনুগামীর তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা জামুরিয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
শুক্রবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা জামুড়িয়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তীকে জানানো হয়। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না ও ঠিক কি হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত করা হবে বলে দলের অন্দরে বার্তা দিয়েছেন ।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ সুব্রত ওরফে রানা অধিকারীকে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার আত্মীয় কাজ আছে বলে জামুড়িয়ার ব্লক সভাপতি অফিসে ডেকে পাঠান। তিনি সেখানে গেলে প্রায় শখানেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা এসে তাকে বলেন জামুড়িয়ায় ব্লকের দলের কমিটিতে তাদের দেওয়া নাম গুলো ঢোকাতে হবে। তখন সুব্রতবাবু তাদেরকে বলেন, এই সমস্ত আলোচনা করতে হলে আমাকে জেলা সভাপতির সঙ্গে আগে কথা বলতে হবে। অভিযোগ তখন তাকে গালিগালাজ ও মারধর করা হয় বলে তিনি দাবি করেন। তার সঙ্গে থাকা আরও তিনজনকেও তারা চড় থাপ্পড় মারে। এরপর সুব্রত নিজেই রাতে জামুড়িয়ার আখলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।
এদিকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে জামুরিয়ায় বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ হয় বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,আমি অভিযোগ পেয়েছি। দলের তরফে অবশ্যই তদন্ত করে যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো জানা গেছে, জামুড়িয়া ব্লকের এক নেতার ভাই এই হামলায় পেছনে রয়েছে।