DURGAPUR

দূর্গাপুরে বাড়ির মধ্যে আগুনে পুড়ে তিন ভাইবোনের মৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* বাড়ির মধ্যে রহস্যজনক ভাবে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হলো এক ভাই ও দুই বোনের। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়া দুই বোনের মধ্যে একজন কলকাতায় নার্সের চাকরি করতেন। মৃত ভাই পেশায় ছিলো সিভিক ভলেন্টিয়ার। শনিবার সকালের এই ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের লাউদোহার লস্করবাঁধের আদিবাদী পাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । মৃতদের নাম মঙ্গল সোরেন (৩৩) , সুমি সোরেন (৩৫) ও সুকুরমনি সোরেন(২৩)।

মৃত মঙ্গল সোরেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে লাউদোহা থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করতো। এক বোন সুমি সোরেন কলকাতায় নার্সের কাজ করতো। সে সপ্তাহ দুয়েক আগে বাড়িতে আসে। অন্য বোন বাড়িতেই থাকত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন ভোর বেলা সাড়ে চারটা নাগাদ অবসরপ্রাপ্ত ইসিএল কর্মী হপনা সোরেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে গেছিলেন। বেশ কিছুক্ষুন পরে তিনি বাড়ি ফিরে এসে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তিনি প্রথমে শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভাঙেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসেন। পরে ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখা যায় তিন ভাই বোনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আগুনে ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রও পুড়ে যায়। মঙ্গল সোরেনের ঘরের মধ্যেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ দুই বোনকে উদ্ধার করে দূর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঠিক কিভাবে ঐ বাড়িতে আগুন লাগলো তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।


প্রতিবেশীরা বলেন, হোপনা সোরেনের পরিবার ভালো। ঘরে কোন অশান্তি ছিল না। হোপনার স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। ছেলে মঙ্গল সোরেনের বিয়ে ঠিক হয়েছিলো বলে হোপনার আত্মীয় পরিজনেরা বলেন। সেই কারণেই কলকাতায় নার্সের কাজ করা দিদি বাড়ি আসেন। মেয়ের বাড়ি থেকে লোক আসার কথা ছিলো। স্বভাবতই এই মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফরিদপুর থানার পুলিশ এসে পৌঁছায়। পুলিশ জানায়, মৃতদেহগুলির ময়না তদন্ত হবে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। তার পরে জানা মৃত্যুর সঠিক কারণ কি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *