ASANSOL

আইনজীবী খুনে গ্রেফতার ল’ক্লার্ক, ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোল জেলা আদালতের আইনজীবী ব্রজেশ্বর দাসের খুনের ঘটনায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এবার মনোজ যাদব নামে এক ল’ ক্লার্ককে গ্রেফতার করলো। আসানসোলের বাসিন্দা এই ল’ক্লার্কের এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলার পরেই বৃহস্পতিবার তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। ধৃত ল’ ক্লার্কের বাড়ি আসানসোলেই।
এর আগেই ব্রজেশ্বর দাসের খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী শম্পা দাস ও শ্বশুর তারকনাথ দাসকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ১৪ দিনের হেফাজতে বৃহস্পতিবারই নিয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোল দক্ষিণ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই খুনের ঘটনায় কিনারা করা হয়েছে বলে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাস। অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু, মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও সহ অন্যরা। এসিপি (সেন্ট্রাল) ও ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বলেন, খুন হওয়া আইনজীবির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার মোবাইল ফোন কল ডিটেইলস্ পরীক্ষা করে এই ঘটনায় মনোজ যাদবের নাম উঠে আসে। আইনজীবীর স্ত্রীকে তিনি দেহ সৎকার করার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন।


প্রসঙ্গতঃ বজেশ্বর দাস আসানসোলের গোধূলি রোডে একটি বহুতলে থাকতেন। আসানসোল আদালতেরই একজন আইনজীবী ছিলেন তিনি। গত শনিবার থেকে নিখোঁজ থাকার পর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে তার স্ত্রী শম্পা দাস ও শ্বশুর তারকনাথ দাস তাকে খুন করে। পরে তারকনাথ দাস সেই দেহ একটি চারচাকা গাড়িতে করে অন্ডালের কাজড়োয় বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে বাড়ির পেছনে জঙ্গলে একটা গর্তে পেট্রোল ঢেলে সেই দেহ পুড়িয়ে সৎকার করেন। সেই গর্ত থেকে হাড় সহ অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। তার ফরেনসিক পরীক্ষাও করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *