ASANSOL

তিহার জেল বন্দী সায়গল হোসেনের আরো ৭টি সম্পত্তি ও তিনটি ব্যাঙ্ক একাউন্টের হদিশ, আদালতে জানালো সিবিআই

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ দিল্লিতে তিহার জেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় শুক্রবার ভার্চুয়াল শুনানি হল না আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। আগামী ১৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এদিন নির্দেশ দেন। কিন্তু এদিন বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নতুন করে প্রায় ১ কোটি টাকার সম্পত্তির একটি সিজার লিস্ট আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই । যার মধ্যে ৭ টি জমির হদিশ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। এই ৭টি জমির মধ্যে একটি বীরভূমের সিউড়ির। বাকি ৬টি ডোমকলে পাওয়া গেছে। এই ৭ টি জমির বাজার মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা । যদিও সিবিআইয়ের দাবি, এই ৭ টি জমির ঐ মূল্য কম করে দেখানো হয়েছে । এই জমিগুলি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দকার ও সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে আছে বলে সিজার লিস্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই।


শুধুমাত্র এই সাতটি জমি নয় সায়গলের স্ত্রীর নামে আরো তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে । ঐ তিনটি অ্যাকাউন্টে মোট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে সিবিআই এদিন আদালতে জানিয়েছে । অ্যাকাউন্ট গুলি ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে । এছাড়াও ডোমকলে একটি ইঁটভাটা, সিঙ্গুরে পাথর খাদানের জন্য জমি , ইলামবাজারে একটি পেট্রল পাম্পের হদিশ পেয়েছে সিবিআই বলে জানা গেছে। কিন্তু কোনটাই সায়গলের নামে নেই বলে সিবিআইয়ের দাবি। এইসব কিছু কার তা সিবিআই জানার চেষ্টা করছে।


প্রসঙ্গতঃ, এই মুহুর্তে দিল্লির তিহার জেলে রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল ও সায়গল হোসেন। এই জেলেই রয়েছেন অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল। তাকে দিল্লিতে জেরার জন্য ডেকে পাঠিয়ে গ্রেফতার করে ইডি। অনুব্রত ও তার প্রাক্তন দেহরক্ষীকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিলো সিবিআই। পরে তাদেরকে ইডি আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগার থেকে গ্রেফতার করেছিলো ইডি। আসানসোল জেল থেকে তাদেরকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করে ইডি। পরে তাদের ঠাঁই হয় তিহার জেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *