রণক্ষেত্র জেকে নগর গুলি চালানোর অভিযোগ, বুথ দখল বানচাল, পিটিয়ে তাড়ানো হয়
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ রণক্ষেত্রের চেহারা নিল, রানীগঞ্জ ব্লকের, জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের জে কে নগর। অভিযোগ এদিন তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী, সমর্থকেরা ভোটারদের প্রভাবিত করতে গেলে, সিপিআইএমের প্রতিরোধ বাহিনী সেই কর্মকাণ্ড বানচাল করে দেয়। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের বাধা দেয় তারা, এমনকি তারা অবাধে ভোট লুট আটকে দেয়।দাবি এই ঘটনায়, তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই বিষয় থেকেই নাকি হাতাহাতি সূত্রপাত। প্রতিরোধ কমিটি দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে, বেশ কয়েকজন আহত হন, অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতি এনে এলাকা উত্তপ্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। হঠাৎই বহিরাগত দুষ্কৃতীরা গুলি চালালে, সিপিআইএমের জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদের বাম প্রার্থী সাগর ব্যানার্জিকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা, কিন্তু গুলি তার হাত ছুঁয়ে চলে যায়।




এই ঘটনার পরেই সিপিআইএম কর্মী ও সমর্থকরা ব্যাপকভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। দুষ্কৃতীরা যে গাড়ি নিয়ে এসেছিল সেই গাড়িতেই চেপে তারা পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরেই সেই গাড়ি ছেড়ে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনাই, তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বাম সমর্থকেরা। তাদের ওপর চড়াও হলে সকলে পালিয়ে যাই বলেই দাবি। এদিকে এই ঘটনার পর, তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধর করা হলে, তাকে বাঁচাতে গিয়ে এক স্থানীয় এলাকাবাসীর মাথা ফেটে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের বিশাল বাহিনী, কমবেট ফোর্স ও রেফ।
জেলা পরিষদের বাম প্রার্থী সাগর ব্যানার্জীর অভিযোগ দায়ের করেন নিমচা ফাড়িতে। তার দাবি বহিরাগত দুষ্কৃতি এনে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি বিজেপি ও সিপিএম একত্রিত হয়ে, এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে পরে তৃণমূলের নামে দোষ দিচ্ছে।