BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

তৃণমূল সমর্থকের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে, উত্তেজনা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও বারাবনি, রাজা বন্দোপাধ্যায়, কাজল মিত্র ও মনোজ শর্মাঃ পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে গত ৮ জুলাই। পুনর্নির্বাচন হচ্ছে সোমবার। এরমধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকে নির্বাচন পরবর্তী অশান্তি ও গন্ডগোল অব্যাহত রয়েছে। রবিবার রাতে যেমনটা হয়েছে আসানসোলের বারাবনি ব্লকের পুঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনডিহি গ্রামে।
জানা গেছে, রবিবার রাতে পুঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনডিহি গ্রামের কিছু ছেলে গ্রামের লক্ষ্মী মন্দিরে গল্প করছিলো। ঠিক সেই সময় সিপিএমের কিছু সমর্থক তাদের বসতে বাধা দেয় ও সেখান থেকে চলে যেতে বলে।


অভিযোগ, সিপিএমের দুই সমর্থক তপন দাস ও দীপক দাস তাদেরকে বলে তোরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। তাই এই পাড়ায় কি করছিস? এখান থেকে চলে যা। তাতে ঐ ছেলে লক্ষ্মী মন্দির থেকে ছুটে পালিয়ে যায়। এরপর তপন দাস ও দীপক দাস দুজনেই বাড়ি যায়। এই মন্দিরের পাশেই প্রদীপ পাল নামের এক তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকের বাড়ি আছে। কিছুক্ষুন পরে সে বাড়িতে ঢুকছিলো। অভিযোগ, তখন তপন দাসের নেতৃত্বে প্রায় প্রায় ৩০/ ৪০ জন প্রদীপ পালের উপর চড়াও হয়। তার বাড়ি লক্ষ্য ব্যাপক হারে ইটপাথর ছোঁড়া হয়। সেই সময় বাড়িতে থাকা দুজন ইটের আঘাতে জখম হন। এই ঘটনার খবর পেয়ে পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মীকে আটক করা হয়।
ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ( হিরাপুর) প্রতীক রায় ,হিরাপুর থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর শিবনাথ পাল,
বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মন্ডল। রবিবার রাতের এই ঘটনায় গোটা গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকেই গোটা গ্রামে চলছে পুলিশি টহল। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটও।


স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ পাল বলেন, সিপিএমের গুন্ডা বাহিনী আচমকা আমার বাড়ি চড়াও হয়। বাড়িতে ইটপাথর ছোঁড়া হয়েছে । এরফলে বাড়ির মধ্যে থাকা একটি বাচ্চা ও মহিলা আহত হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। ঐ বাড়ির প্রদীপ পালের অভিযোগ, সে তৃণমূল করে। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেদের সাথে মেলামেশা করে বলেই তাদের উপর হামলা চালানো হয়ছে ।
তবে সিপিএমের তপন দাসের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বারাবনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অসিত সিং বলেন, ঐ গ্রামের কিছু গুন্ডা বাহিনী আছে,
যারা সিপিএম আশ্রিত। তারা মদ খেয়ে গ্রামে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। কারন তারা জেনে গেছে তাদের পরাজয় হচ্ছে। তাই অশান্তি করে গ্রামের মানুষকে অস্বস্তি তে ফেলতে চাইছে। তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, স্বচ্ছ ভোট হোক। তাই স্বচ্ছ ভোট হয়েছে। মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই অবস্থায় সিপিএম ও বিজেপির কর্মীরা বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে। তাই তারা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে এলাকায় এলাকায়। তবে এই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা মনে করি।
অন্যদিকে, পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *