RANIGANJ-JAMURIA

জামুড়িয়ায় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার , মুহূর্তের মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেফতার

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী , রানীগঞ্জ : বাড়ির একমাত্র কর্মঠ সদস্য, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রর, হত্যার ঘটনার বিষয় উঠে আসার পরেই, বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ জানানোর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য কিনারা শুরু করল জামুড়িয়া থানার পুলিশ। রবিবার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করা হয় তারই এক সহ পাঠীকে। পরে ওই যুবক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখিয়ে দিল কিভাবে হত্যা করেছে সে তার সহপাঠী কে। মুহূর্তেই অনেকটাই হত্যার রহস্য সমাধানের তৎপর হলো পুলিশ।

এদিকে এই মৃতের পরিজনেরা, ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠিসহ আরো বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে দাবি করে সকলের কঠিনতম শাস্তির দাবি জানালো। আর থানারই এক প্রান্তে মা আক্ষেপ করতে থাকলো নিজেদের ব্যক্তিগত কথা নাকি বাবাকে জানিয়ে দেবে তার জন্য কি মেরে দেবে আমার ছেলেকে। বিলাপ করে বারংবার এই দাবি করল বছর ১৮ র নিহত ছাত্রের মা।


ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় জামুড়িয়ার হাটতলার বাসিন্দা বর্তমানে জামুরিয়া থানা সংলগ্ন বোরিং ডাঙ্গা অঞ্চলের বাসিন্দা বছর ১৮র জামুরিয়া হিন্দি হাট হাই স্কুলের ছাত্র আনন্দ কেশরী ওরফে বান্টি শনিবার রাত্রে নটা নাগাদ, হঠাৎই বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে এই বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে এরপর আর বাড়ি ফেরে না সে, এরপর বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের খোঁজ না পাওয়ার পর রবিবার তার মা অনিতা কেশরী, পাড়া-প্রতিবেশী ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানতে পারে, জামুরিয়া নন্দী জোড়া পুকুর এলাকার শ্মশান সংলগ্ন মাঠে তার ছেলের রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে।

বিষয়টি তার পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন জানার পরই জামুড়িয়া থানায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকার বাসিন্দা ও মৃতের পরিজনেরা জামুরিয়া থানায় পৌঁছে এই ঘটনায় তার সহপাঠীদের যুক্ত থাকার কথা দাবি করলে পুলিশ তাদের আটক করার পরেই হত্যার ঘটনার সূত্র পায় পুলিশ। জানা গেছে আনন্দ কেশরী পড়াশোনা সাথেই বাবা মারা যাওয়ার পর ফেরি করে ঘর সংসার চালাত। এদিন তার মৃত্যুর ঘটনার পর হতচকিত হয়ে পড়ছে সকলেই।

তার মায়ের একটাই আক্ষেপ মম খেতে খেতে এই ছেলেটা হঠাৎ চলে গেল আর আমার ছেলেকে শুধুমাত্র তার বাবাকে নালিশ জানাবে এই অভিযোগের কারণে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারল এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না বলেই আক্ষেপ করতে থাকে সে। এদিনের এই ঘটনার পরেই জামুরিয়া থানার পুলিশ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সেন্ট্রাল টু শ্রীমন্ত ব্যানার্জীর নেতৃত্বে জামুরিয়া থানার ওসি ও জামুরিয়ার অন্য সব পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনার মূল কারণ কি কি কারনেই এই হত্যার ঘটনা সংঘটিত করা হলো তা নিয়ে শুরু করেছে তদন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *