দুর্গাপুরের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের নয়া কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধনে মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা
বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়/ সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : ( Cargo Terminal At Durgapur Airport ) পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের অন্ডালে কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এই বিমানবন্দরে কার্গো টার্মিনালের সোমবার উদ্বোধন হল। কোভিড তথা করোনা মহামারীর পর গত দুই বছরে এই বিমানবন্দরের কার্যক্রম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বর্তমানে দিল্লি ও মুম্বাই থেকে (দুটি ফ্লাইট), চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ ব্যাঙ্গালুরু থেকে প্রতিদিন ছয়টি ফ্লাইট সংযোগ করবে এই বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনালকে। এই মুহূর্তে এই টার্মিনাল ইন্ডিগো ও স্পাইসজেট বিমান সংস্থার দ্বারা পরিচালিত করা হবে। এই সকল রুটে যাত্রী যাতায়াতের পরিমান প্রায় ৯০ শতাংশের এর বেশি।
এই কার্গো টার্মিনালটি ক্রমবর্ধমান লজিস্টিক শিল্পের চাহিদা পূরণ ও কাজকে সহজতর করার জন্য ডিজাইন এবং নির্মাণ করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের এই নবনির্মিত কার্গো টার্মিনালটি অত্যাধুনিক সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত। এক্স-বিআইএস মেশিন থেকে শুরু করে থাকছে সর্বক্ষণের সিসিক্যামেরার নজরদারি, অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, অতিরিক্ত অফিসের জন্য জায়গা এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। এই টার্মিনালটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে এবং সাজানো হয়েছে, যেন এয়ার কার্গো চলাচলে আরো সহজ হয়। এই টার্মিনালটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্টস লিমিটেড। কার্গোর সমস্ত কাজ বা অপারেশন শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক দ্বারা অনুমোদন পেয়েছে। এই কার্গো টার্মিনাল বিমানবন্দরের ব্যবসাকে আরো অনেকটা ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বিমানবন্দরের
জন্য অতিরিক্ত সাফল্য বয়ে আনবে বলে আশাবাদী কতৃপক্ষ।
এদিন এক অনুষ্ঠানে এই নতুন টার্মিনালটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্টস লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট তথা সিএফও মিসেস অঞ্জু মাদেকা। অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঞ্জু মাদেকা বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের এই কার্গো টার্মিনালটি সারাদেশে বাণিজ্য তথা দ্রুত পণ্য নিয়ে আমদানি ও রপ্তানি ব্যাবস্থা কে সহজতর করে তুলবে। বছরে প্রায় ২৫,০০০ মেট্রিক টনের ওপর কার্গো পৌঁছে দেওয়া যাবে। এই টার্মিনালের মাধ্যমে অববাহিকা অঞ্চলে অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী কার্গো চলাচলেরও বিশাল সম্ভাবনা থাকছে। ফল, কাঁচা সব্জি, মাছ সহ দৈনন্দিন ই-কমার্স, ঔষধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, নানা যন্ত্রাংশ এবং খুচরা জিনিসপত্র নিয়ে বানিজ্য করতে এই কার্গো টার্মিনালের ব্যাবহার করা হবে।
অনুষ্ঠানে এক কার্গো এজেন্ট বলেন, কেএনআইএ বিমানবন্দর কৌশলগতভাবে এই এয়ার-কার্গো ব্যবসা – বানিজ্য করার জন্য আদর্শ। এই কার্গো টার্মিনালের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বিমানবন্দরটি জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত থাকায় অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। এই এয়ার-কার্গো চলাচল, বিশেষ করে দ্রুত পচনশীলপণ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় এবং পরিবহন খরচ অনেকটাই বাঁচাবে।