ASANSOL

হোলসেল মার্কেট স্থানান্তর, পুরনিগমের তৈরী বাজার নিয়ে জটিলতা, মেয়রের সঙ্গে বৈঠক ব্যবসায়ীদের, বিকল্প জায়গার সন্ধানে পরিদর্শন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল শহরের জিটি রোডের মুল বা প্রধান বাজার থেকে হোলসেল মার্কেট স্থানান্তর করা নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরী হলো। এরফলে আপাততঃ আসানসোল বাজার থেকে হোলসেল মার্কেট স্থানান্তরের বিষয়টি ঝুলে থাকলো। এর মুল কারণ আসানসোল পুরনিগমের তৈরী করা কালিপাহাড়িতে ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া মুখ্য বাজার বা মেন মার্কেট। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোন কথা না বলে, তাদের কাছ থেকে পরিকল্পনা বা প্ল্যান না নিয়ে, তাদের সুবিধা বা অসুবিধা সম্পর্কে অবহিত না হয়ে পুরনিগম কতৃপক্ষ নিজেদের মতো করে এই বাজার তৈরি করেছে বলে দাবি।


গোটা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করতেই বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল পুরনিগমে নিজের চেম্বারে আসানসোল বাজারের সবজি, মাছ, ফল, ডিম সহ বিভিন্ন জিনিসের হোলসেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। সেই বৈঠকে পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক ও পুর আধিকারিকরা ছিলেন। সেখানে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। মেয়রকে পরিষ্কার করে ব্যবসায়ীরা বলে দেন যে, পুরনিগমের তৈরি ঐ দোতলা মার্কেটে তাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। কেননা, সেখানে জায়গা ঠিক মতো নেই। সব ব্যবসায়ীদের দোকান সেখানে নেই। এরপর ব্যবসায়ীদের কি দাবি ও পরিকল্পনা আছে, তা শোনা হয়। এই মুহুর্তে ঠিক কতজন আসানসোল বাজারে হোলসেল ব্যবসায়ী আছেন তার একটা সংখ্যা জানা হয়।


এই বৈঠকের পরে মেয়র, পুর চেয়ারম্যান ও ডেপুটি মেয়র সহ অন্যান্যরা কালিপাহাড়ি এলাকা পরিদর্শনে যান। পুরনিগমের তৈরি বাজারের পাশাপাশি আশপাশের বিকল্প জায়গা পরিদর্শন করা হয়। যেখানে ব্যবসায়ীদের দাবি মতো বাজার তৈরি করা যায় কিনা, তা দেখা হয়।
এই প্রসঙ্গে হোলসেল মার্কেটের পরে মহঃ ইমতিয়াজ, মহঃ ইলিয়াস সহ অন্যান্যরা ব্যবসায়ীরা এদিন বলেন, আসানসোল বাজারে এই মার্কেট থাকার জন্য সবার অসুবিধা ও সমস্যা হচ্ছে। আমরা তো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, শহরের বাইরে জাতীয় সড়কের পাশে আমাদের মার্কেট তৈরি করা হোক। এতে শহরে সুন্দর থাকবে, সবার অসুবিধা ও সমস্যা দূর হবে। তারা আরো বলেন, কিন্তু পুর কতৃপক্ষ নিজেদের মতো করে একটা দোতলা মার্কেট তৈরি করে দিলো। আমাদের কথা শোনা হলো না। আমাদের কি দরকার, তাও জানা হলোনা। এই মার্কেটে আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। বিকল্প জমি দেখে, সারা দেশে যেভাবে হোলসেল মার্কেট তৈরি করা হয়েছে, তার মতো করা হোক। সবাইকে নিয়ে একটা বাজার সমিতি হোক।


মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে হোলসেল মার্কেট স্থানান্তর নিয়ে। আমরা বিকল্প কি করা যায় দেখছি। মোটামুটি ৪০০ জনের মতো ব্যবসায়ী আছে। এদিন তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। তারা একটা প্ল্যান দিয়েছে। তারা আরো বলেন, দ্রুত কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে। এটা না করলে, শহরের জিটি রোডের সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *