বন্দে ভারত জন্য চারটি ইঞ্জিনের অর্ডার পেয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : ( Vande Bharat Express ) চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় এবার পুসপুল সিস্টেমে বন্দে ভারত চালানোর জন্য রেল ইঞ্জিন তৈরির প্রাথমিকভাবে চারটি ইঞ্জিনের অর্ডার পেয়েছে। এই চারটি ইঞ্জিনের মধ্যে দুটি করে ইঞ্জিন ২৪ টি যাত্রী কামরা নিয়ে সামনে এবং পিছনের দিকে থাকবে। সামনের ইঞ্জিনটি টানবে এবং পিছনের ইঞ্জিনটি ঠেলবে। এটাই হলো পুসপুল সিস্টেম। এই ইঞ্জিনগুলো তৈরি হলেই তা চলে যাবে আই সিএফ রেলওয়ে কোচ তৈরির কারখানায় এবং সেখান থেকে নতুন ২৪টি করে কামরা নিয়ে এই যাত্রী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে।




বর্তমানে বন্দে ভারত ইঞ্জিন এবং কামরা একসাথেই তৈরি হয় আই সি এফ বা ইন্টাগিয়াল কোচ ফ্যাক্টরিতে। চিত্তরঞ্জনের তৈরি ৪টি ইঞ্জিন দিয়ে দুটি বন্দে ভারতের মতো ট্রেন প্রথম পুসপুল সিস্টেমে চালানো হবে। আর নবনির্মিত ইঞ্জিন চালানো যদি সার্থক হয় তাহলে আগামী দিনে চিত্তরঞ্জনে রেলবোর্ড থেকে ইঞ্জিনের আরো অনেক অর্ডার আসতে পারে।
চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অমিত আগরওয়াল শুক্রবার জানান ভারতীয় রেল পর্ষদ থেকে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় এমন চারটি ইঞ্জিন তৈরীর অর্ডার তারা পেয়েছেন। এগুলো পুসপুল সিস্টেমে অর্থাৎ সামনের দিকের ইঞ্জিনটি টেনে নিয়ে যাবে এবং পিছনের ইঞ্জিনটি তাকে ঠেলবে এই পদ্ধতি ব্যবহার হবে। তিনি জানান এগুলি বন্দেভারত যাত্রী ট্রেনের জন্যই ব্যবহার করা হবে। তবে সেখানে যাত্রী বগীর সংখ্যা ২৪ টা পর্যন্ত হবে। এমন দুটি যাত্রী ট্রেনকে এই ইঞ্জিন দিয়েই দেশের দুই জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে ।কোন রুটে সেটা চলবে তা অবশ্য এখন ঠিক হয়নি।
চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার সিটু ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেন ইতিমধ্যেই এই নতুন ইঞ্জিনের কাজ আমরা শুরু করেছি ।এর সম্পূর্ণ টেকনোলজি আমাদের কারখানাতেই আছে । আশা করা যায় এক সেট অর্থাৎ দুটি ইঞ্জিন আগামী অক্টোবরের মধ্যেই তৈরি করা যাবে ।গত ৯ আগস্ট আমরা জেনারেল ম্যানেজারের সাথে আমাদের অন্যান্য দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলার সময় তিনি আমাদের এই বিষয়টা জানান। এখানকার জেনারেল ম্যানেজার দেবীপ্রসাদ দাস এখানে আসার আগে আই সি এফ রেল কোচ কারখানায় সর্বোচ্চ পদে ছিলেন । তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে রেলওয়ে বোর্ড থেকে এই অর্ডার নিয়ে এসেছেন।
যদি এক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য আসে তাহলে আগামী দিনের চিত্তরঞ্জনে এমন ইঞ্জিনের অর্ডার আরো পাওয়া যাবে বলে আমরা মনে করি। এর রং বন্দে ভারতের বর্তমান ইঞ্জিনের রঙের অনুরূপ হবে না বলে তাদের ধারণা। রাজিব বাবু বলেন আলাদা করে রঙের একটা প্রস্তাব রেল বোর্ডকে পাঠানো হয়েছে বলে শুনেছি ।তবে তার অনুমোদন এখনো আসেনি। আইএনটিইউসির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন এই ৪ টি ইঞ্জিনের সাফল্য মিললে চিত্তরঞ্জন কারখানা এই ধরনের আরো ইঞ্জিন তৈরির অর্ডার পাবে। বর্তমান জেনারেল ম্যানেজারের চেষ্টাতে এই অর্ডার এসেছে বলে আমরা মনে করি।