সিপিএমের আলোচনা সভায় শমীক লাহিড়ী, তীর প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে, নানা ইস্যুতে একযোগে আক্রমন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় :তীর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। যাদবপুর থেকে বিভিন্ন দূর্নীতি এবং আরএসএস থেকে আদানি – আম্বানি ইস্যু। একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও বিজেপিকে আক্রমণ করলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী।
সোমবার বিকেলে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে সিপিএমের আসানসোল এরিয়া কমিটিগুলোর উদ্যোগে ” দেশের বর্তমান সংকটপূর্ণ মুহুর্ত ও বামপন্থীদের কার্যকরী ভূমিকা ” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। সেই আলোচনা সভাতেই মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শমীক লাহিড়ী। অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় ও তাপস রায়।
এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শমীক লাহিড়ী বলেন, বিজেপি সাধারণ একটা রাজনৈতিক দল নয়। ওটা একটা ভয়ংকর শক্তি। এরা গোটা দেশে ফ্যাসিবাদকে মদত দিচ্ছে। আর অন্যদিকে আরএসএস সারাদেশে পরস্পরের মধ্যে একটা বিদ্বেষ তৈরি করছে। তাদের মদতে দেশ এখন একটা বিপজ্জনক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এখান থেকে দেশকে বার করে আনা খুবই কঠিন। বামপন্থীদের এই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এখন তো দেশের সব বড় বড় মিডিয়া আদানি ও আম্বানিদের হাতে। তাদের কোন বিরোধিতা করা যাবে না।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সিপিএমের এই শীর্ষ নেতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি একমাত্র নিজের নাম ছাড়া কোন কথা সত্যি বলেননা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কান্ডে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তার দলের লোক। ওখানে নির্দল হয়ে আছে। উনি তো পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। যাতে পুলিশ কোন কড়া পদক্ষেপ না নেয়। নিয়োগ সহ রাজ্যের একাধিক দূর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলা এমন একটা রাজ্য যেখানে সরকার চোরেরা যাতে ধরা না পড়ে, বা শাস্তি না পায় তারজন্য মানুষের টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন ইডি ও সিবিআই এখনো কেন কান ধরে টানাটানি করছে? কেন তারা মাথার দিকে যাচ্ছে না? ভাইপো কি করে আমেরিকা থেকে ঘুরে এলো? তাহলে কি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের সঙ্গে সেটিং হয়ে গেছে? পঞ্চায়েত নির্বাচন ও বিভিন্ন সরকারি অনুদানের টাকা বৃদ্ধি করা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমন করে তিনি বলেন, তাদের কি মানুষের উপর কোন ভরসা নেই? না নিজের দলের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা নেই? কোনটা ?