সোনার দোকানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকরা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ২৪ ঘন্টা আগে মঙ্গলবার দুপুরে এক ঘন্টার ব্যবধানে পুরুলিয়া ও রানাঘাটে দুটি সোনার গয়নার শোরুমে ফিল্মি কায়দায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আর এই পরেই আসানসোল শহরে এই ধরনের অপরাধ আটকাতে তৎপর হলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
বুধবার সকালে দোকানে দোকানে পরিদর্শন করার পরে বিকেলে জুয়েলারি শপের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। আসানসোল পুরনিগমের আলোচনা হলে হওয়া এই বৈঠকে ছিলেন পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাস, আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু ও আসানসোল দক্ষিণ থানা (পিপি) সঞ্জীব দে।
বৈঠক সোনার দোকানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মালিকদের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকরা বিস্তারিত আলোচনা করেন। পুলিশ কি চায়, তা যেমন দোকান মালিকদের বলা হয়েছে, তেমনি দোকান মালিকেরা পুলিশের কাছ থেকে কি রকম সাহায্য চান তাও জানানো হয়েছে।
পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, দোকানে সিসিটিভির ডিভিআর ( যাতে ফুটেজ রেকর্ডিং থাকে) প্রটেক্ট এরিয়া বা নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। যাতে তা কেউ তা দেখতে না পারে বা জানতে না পারে। কেন না, ডাকাতির সময় ডাকাতরা সেই ডিভিআর নিয়ে চলে যাচ্ছে। এর সঙ্গে ওয়াইফাই যুক্ত ক্যামেরা রাখা যেতে পারে বলে পুলিশের তরফে দোকানদারদের বলা হয়েছে। নজরদারির জন্য আরো আরজি পার্টি করা হবে। পেট্রোলিং বাড়ানো হবে সোনার দোকান আছে এইসব এলাকায়।
এছাড়াও পুলিশের তরফে স্পেশাল ফোর্স যেমন দেওয়া হবে, তেমনি দোকানদারকে নিজস্ব সিকিউরিটি গার্ড বা নিরাপত্তা রক্ষী বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
এদিন দোকান মালিকদের তরফে আগ্নেয়াস্ত্র নেওয়ার জন্য লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আবেদন করার পরে দুবছর পার হয়ে গেলেও, তা দেওয়া হয়নি।
বৈঠক শেষে পুলিশের তিন আধিকারিক বলেন, সবকিছু শোনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।