গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরে আবেদন ঝুলেই রইলো, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবারও প্রশ্নের মুখে ইডি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার। গরু পাচার মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ইডির তোড়জোড় আবারও ধাক্কা খেলো আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। গত ১৯ আগষ্টের মতো শনিবারও আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্নের মুখে পড়লেন ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। এদিনও তিনি বিচারকের প্রশ্নের কোন সন্তোষজনক এ্যানসার বা সদুত্তর এদিনও দিতে পারেননি।
শনিবার দু’দফায় ঘন্টা দেড়েকের সময় ধরে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয়। শেষ পর্যন্ত বিচারক ইডির আইনজীবীকে আরো সময় দেন। তিনি এদিন নির্দেশ দিয়ে বলেন, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে ৪৪(১/সি) নং ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছিলো।
কিন্তু গত ১৯ আগষ্টের মতো এদিন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই আবেদনের দ্বিতীয় শুনানির দিনেও কার্যত ধাক্কা খেলো কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এদিনও কার্যত সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইডির আইনজীবি অভিজিৎ ভদ্রকে। কেন এই মামলা দিল্লিতে সরানোর হবে তার প্রশ্ন করেন বিচারক। তিনি জানতে চান, কোন আইনে ও কে এই অধিকার ইডিকে দিয়েছে? কোন মামলা কি ইচ্ছে করলে যে কোন কেন্দ্রীয় এজেন্সি, যে কোন রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে? পিএমএলএ বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং এ্যাক্টের মামলা যে ইডি করবে, তার কোথায় সরকারি অর্ডার বা গেজেট নোটিফিকেশন আছে? সেই সময় ইডির আইনজীবী আইনের একাধিক ধারার উল্লেখ করে আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন। বিচারক ভরা এজলাসে ধারা গুলি পড়েন ও জানতে চান এই প্রশ্নের উত্তর উত্তর কোথায় আছে? তখন ইডির আইনজীবী একই তথ্য দিতে থাকেন। এর পাশাপাশি তিনি বিচারকের কাছে আবেদন করে বলেন, এই বিষয়টি এদিনের নির্দেশনামায় উল্লেখ করলে ভাল হয়। তখন বিচারক অনুব্রতর আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর।
এই গরু পাচার মামলায় প্রথমে সিবিআই ও ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন দিল্লির তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত,তার কন্যা, তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল, এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার।
পরে আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিলো। এদিন তার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিলো। ইডির আইনজীবী বিচারকের করা প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।