ASANSOL

কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশের বড়সড় সাফল্য, দুটি গাড়ি থেকে ১৯৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ( Asansol News Today in Bengali ) আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশের বড়সড় সাফল্য। দুটি চারচাকা গাড়ি থেকে ১০৩ টি প্যাকেট থেকে উদ্ধার হলো ১৯৫ কেজি গাঁজা। এই গাঁজা পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন বলে জানা গেছে। এই চারজনের মধ্যে তিনজন উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলা ও একজন আসানসোলের জামুড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের নাম হলো পূর্তিবাস পাত্র, রুবি পাত্র, বুলু মোহান্তি ও ধনঞ্জয় সিং। ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা করা হয়েছে। সোমবার সকালে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে চারজনকে আসানসোল জেলা আদালতের এনডিপিএস কোর্টে তোলা হয়েছিলো। এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, চারজনকে পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিলো। বিচারক তাদের জামিন করে ১১ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আবার চারজনকে আদালতে পেশ করা হবে।


জানা গেছে, পুরুলিয়ার সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়ার পর থেকে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় কড়া নজরদারি করছে বিভিন্ন থানার পুলিশ। অন্যদিনের মতো রবিবার রাতে আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশ ১৯ নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় সংলগ্ন এলাকায় নাকা চেকিং করছিলো। সেই সময় পুলিশ গোপন সূত্র খবর পায় যে আসানসোলের জুবিলি মোড়ের দিকে দুটি চারচাকা গাড়ি আসছে। সেই মতো জুবিলি মোড়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি ওয়েস্ট বেঙ্গল ও একটি উড়িষ্যা নম্বরের দুটি চারচাকা গাড়ি আটকায়। গাড়ি দুটির ডিকি খুলে পুলিশ তল্লাশি করে ৬০ ও ৪৩ টি মোট ১০৪ টি প্যাকেট বার করে। সেই প্যাকেট গুলি থেলে পাওয়া যায় সবমিলিয়ে ১৯৫ কেজি গাঁজা। দুটি গাড়ির দুই চালক ও এক মহিলা সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এত পরিমাণ গাঁজা এই এলাকায় উদ্ধার করা হয়নি। এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে উড়িষ্যা থেকে এই গাঁজা পাচারের জন্য আনা হচ্ছিলো। এতো পরিমাণ গাঁজা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চারজনকেই এদিন আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জেরা করে এর পেছনে আর কে কে আছে, এই চক্র কতদিন ধরে কোন কোন রাজ্য ও জেলায় সক্রিয় রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হবে।


প্রসঙ্গতঃ, দিন কয়েক আগেই আসানসোল জেলা আদালতের এনডিপিএস কোর্ট ২০২১ সালের আসানসোল উত্তর থানারই অন্য একটি ফাঁড়ির গাঁজা উদ্ধারের মামলায় ৫ জনকে সাজা দিয়েছে। যার মধ্যে একজনের সর্বোচ্চ ১৪ , দুজনের ১২ ও দুজনের ১০ সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। ২০২১ সালের ঘটনায় পুলিশের দাবি ছিল, এই গাঁজা ঝাড়খণ্ড থেকে পাচারের জন্য চারচাকা গাড়ি করে আসানসোলের উত্তর থানা এলাকায় আনা হচ্ছিলো।
তাই অনুমান করা হচ্ছে, উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডের এই রাজ্যের আসানসোলে আন্তঃরাজ্য গাঁজা পাচারের একটা লিঙ্ক তৈরী হয়েছে। এই লিঙ্ক ধরেই গাঁজা পাচার চক্র বেশ সক্রিয় রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *